মেক্সিকোতে ৭৭টি পরিচ্ছন্ন সমুদ্র সৈকত, যা উত্তর ও দক্ষিণ আমেরিকাতে সর্বোচ্চ। বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে পরিচিত এই দেশটি।
‘ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার’-এর একটি প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, মেক্সিকোর সমুদ্র সৈকতগুলোর পরিচ্ছন্নতা ও ব্যবস্থাপনার বিশেষ দিক।
আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত ‘ব্লু ফ্ল্যাগ’ খেতাবপ্রাপ্ত সমুদ্র সৈকতের সংখ্যা মেক্সিকোতে সবচেয়ে বেশি।
এই স্বীকৃতি পেতে হলে সমুদ্র সৈকতকে কঠোর কিছু মানদণ্ড পূরণ করতে হয়। পরিবেশগত সুরক্ষা, শিক্ষা, নিরাপত্তা এবং সহজলভ্যতা – এই বিষয়গুলোর ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়।
শুধু পরিচ্ছন্নতাই নয়, পরিবেশ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করাও ব্লু ফ্ল্যাগ-এর অন্যতম লক্ষ্য। ব্লু ফ্ল্যাগ কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, “জৈব বৈচিত্র্য, বাস্তুতন্ত্র এবং পরিবেশগত ঘটনা সম্পর্কে তথ্যের স্থায়ী প্রদর্শনের পাশাপাশি পরিবেশ শিক্ষা কার্যক্রমও সরবরাহ ও প্রচার করতে হবে।
ব্লু ফ্ল্যাগ বিচগুলোর মধ্যে মেক্সিকোর লস কাবোসে ২৫টি, জিউয়াতানেহোতে ৫টি, পুয়ের্তো ভায়ার্তাতে ৪টি, ইসলা মুহেরেস-এ ৪টি এবং পুয়ের্তো মোরোসে ২টি বিচ রয়েছে।
এই বিচগুলোতে ভ্রমণকারীদের জন্য উন্নত পরিষেবা নিশ্চিত করা হয়। ব্লু ফ্ল্যাগ-এর স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য ৩৩টি মানদণ্ড পূরণ করতে হয়।
এর মধ্যে অন্যতম হলো পানির গুণগত মান প্রদর্শন, পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, পর্যাপ্ত ডাস্টবিন স্থাপন এবং দর্শকদের জন্য পর্যাপ্ত টয়লেট ও বিশ্রামাগারের ব্যবস্থা করা। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো, জনসাধারণের জন্য সমুদ্র সৈকতে অবাধ প্রবেশাধিকার নিশ্চিত করা।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মতো দেশগুলোতে ব্লু ফ্ল্যাগ বিচ-এর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে অনেক কম।
কানাডায় ৭টি এবং যুক্তরাষ্ট্রে মাত্র ২টি ব্লু ফ্ল্যাগ বিচ রয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ক্যালিফোর্নিয়ার মালিবুর ওয়েস্টওয়ার্ড বিচ এবং ফ্লোরিডার ডেলরে বিচ এই তালিকায় অন্তর্ভুক্ত।
পরিবেশ সুরক্ষার দিক থেকে মেক্সিকোর এই সাফল্য একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
বাংলাদেশের সমুদ্র উপকূলগুলোতেও পরিচ্ছন্নতা ও ব্যবস্থাপনার উন্নতি ঘটানো সম্ভব।
পর্যটকদের আকর্ষণ বাড়াতে এবং পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য, ব্লু ফ্ল্যাগ-এর মতো আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করা যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার।