পোল্যান্ডের নিরাপত্তা জোরদারের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ডোনাল্ড টাস্ক সম্প্রতি মার্কিন অভিনেতা ও পরিচালক জেসি আইজেনবার্গকে সামরিক প্রশিক্ষণের প্রস্তাব দিয়েছেন।
আইজেনবার্গ সম্প্রতি পোল্যান্ডের নাগরিকত্ব লাভ করেছেন।
প্রধানমন্ত্রী টাস্কের এই প্রস্তাব মূলত কৌতুকপূর্ণ, তবে এর মাধ্যমে পোল্যান্ডের সামরিক সক্ষমতা বাড়ানোর বিষয়টিও আলোচনায় এসেছে।
পোল্যান্ডের প্রেসিডেন্টের পক্ষ থেকে আইজেনবার্গকে নাগরিকত্ব দেওয়ার কয়েক দিন পরই প্রধানমন্ত্রী টাস্ক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও পোস্ট করেন।
ভিডিওটিতে দেখা যায়, তিনি এনবিসি’র ‘দ্য টুনাইট শো’তে আইজেনবার্গের একটি সাক্ষাৎকার দেখছেন।
সাক্ষাৎকারে আইজেনবার্গ মজা করে বলেছিলেন, নাগরিকত্ব পাওয়ার পরের দিন তিনি খবর দেখেন এবং প্রথম খবরটি ছিল, ‘পোল্যান্ড এখন সকল পুরুষের জন্য সামরিক প্রশিক্ষণ বাধ্যতামূলক করেছে’।
টাস্ক তার ভিডিওতে বলেন, “প্রিয় জেসি, ভয় পাওয়ার কিছু নেই!”
তিনি উল্লেখ করেন, সামরিক প্রশিক্ষণ আসলে স্বেচ্ছামূলক।
তিনি আরও বলেন, “সুতরাং, পোল্যান্ডে চলে আসুন! আমরা আপনাকে এমন প্রশিক্ষণ দেব যে, নতুন জেমস বন্ডের চরিত্র? সেটি আপনারই!”
ইউরোপে নিরাপত্তা পরিস্থিতির পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে গত ৭ই মার্চ প্রধানমন্ত্রী টাস্ক জানান, তার সরকার সকল প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য ব্যাপক সামরিক প্রশিক্ষণের পরিকল্পনা করছে।
তিনি জানান, বর্তমানে বিদ্যমান সৈন্যের দ্বিগুণেরও বেশি, অর্থাৎ প্রায় ৫ লক্ষ সৈন্যের একটি বাহিনী তৈরি করা প্রয়োজন, যেখানে রিজার্ভ সেনা (সংরক্ষিত সেনা) অন্তর্ভুক্ত থাকবে।
সামরিক বাহিনীর রিজার্ভ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার ২০২৭ সাল থেকে প্রতি বছর এক লক্ষ স্বেচ্ছাসেবক’কে সামরিক প্রশিক্ষণে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়।
মঙ্গলবার তিনি জানান, “আমি নিশ্চিত যে স্বেচ্ছাসেবকের কোনো অভাব হবে না।”
পোল্যান্ড সরকার তাদের সামরিক বাহিনীকে আরও শক্তিশালী করতে চাইছে, যা ইউরোপের নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে দেশটির নেওয়া পদক্ষেপগুলোর একটি অংশ।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস