নজরকাড়া তথ্যচিত্র ‘ডিগ!’: শিল্পীমনের লড়াই আর সাফল্যের গল্প
বছর কয়েক আগেও সঙ্গীত জগত ছিলো অনেকটা অন্যরকম। শিল্প আর বাণিজ্যের এক কঠিন দ্বন্দ্বে সবসময় অস্থির থাকতেন শিল্পীরা।
এই সময়ের দুটি জনপ্রিয় ব্যান্ড, ‘দ্য ব্রায়ান জনস্টাউন ম্যাসাকার’ এবং ‘দ্য ড্যান্ডি ওয়ারহোলস’ -এর উত্থান নিয়ে নির্মিত তথ্যচিত্র ‘ডিগ!’ সেই সময়ের এক জীবন্ত প্রতিচ্ছবি। ১৯৯৬ থেকে ২০০৩ সালের মধ্যে ব্যান্ড দুটির কাজ এবং ব্যক্তিগত জীবন ক্যামেরাবন্দী করেছেন পরিচালক ওন্ডি টাইমার।
সম্প্রতি তথ্যচিত্রটির ২০ বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘ডিগ! এক্সএক্স’ নামে নতুন সংস্করণ মুক্তি পেয়েছে।
‘ডিগ!’ মূলত দুটি ব্যান্ডের দুই ধরনের মানসিকতা এবং সাফল্যের ভিন্ন পথ নিয়ে তৈরি।
অন্যদিকে, ‘দ্য ড্যান্ডি ওয়ারহোলস’ -এর সদস্যরা চেয়েছিলেন জনপ্রিয় হতে এবং সেই অনুযায়ী নিজেদের কাজ সাজিয়েছিলেন।
এই দুই দলের সদস্যদের মধ্যে প্রায়ই দেখা যেত মানসিক দ্বন্দ্ব, যা তথ্যচিত্রে স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে।
তথ্যচিত্রের পরিচালক ওন্ডি টাইমার জানিয়েছেন, ব্রায়ান জনস্টাউন ম্যাসাকারের গান শুনে তিনি এতটাই মুগ্ধ হয়েছিলেন যে, তাদের নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী হন।
এমনকি একটি কনসার্টের সময় ব্যান্ডের সদস্যদের মধ্যে মারামারি পর্যন্ত হয়, যা ক্যামেরাবন্দী করেন তিনি।
পরবর্তীতে, ড্যান্ডি ওয়ারহোলসের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতাও তার জন্য বেশ আকর্ষণীয় ছিল। তিনি বলেন, “তাদের সাথে কাজ করার সময় মনে হতো যেন শিল্প আর বাণিজ্যের এক দারুণ মিশ্রণ দেখছি।”
তথ্যচিত্রের অন্যতম আকর্ষণ হলো, এতে দুই ব্যান্ডের সম্পর্কের উত্থান-পতন, শিল্পীদের ব্যক্তিগত জীবন এবং সঙ্গীতের জগতের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে।
অন্যদিকে, তাদের ব্যক্তিগত জীবনে আসা নানা ধরনের সমস্যাও দর্শকদের নাড়া দেয়।
‘ডিগ!’ শুধু দুটি ব্যান্ডের গল্প নয়, বরং এটি সঙ্গীত জগতের ভেতরের অনেক অজানা গল্পও তুলে ধরে।
কিভাবে শিল্পীরা নিজেদের সৃষ্টিশীলতা বজায় রেখে সাফল্যের পথে এগিয়ে যান, সেই বিষয়টি দর্শকদের কাছে স্পষ্ট হয়।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান