1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 18, 2025 4:41 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কি সাংবিধানিক সংকট চলছে? তোলপাড় সৃষ্টি! আতঙ্কের ঢেউ! বিজ্ঞানীদের বরখাস্ত করলেন ট্রাম্প, সমুদ্রের ভবিষ্যৎ কি? আমেরিকা জুড়ে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডব: ধ্বংসস্তূপে পরিণত জনপদ, বাড়ছে মৃতের মিছিল! মার্কিন সাহায্যকারীদের বাঁচাতে এগিয়ে এল এই দল, মানবিকতার অনন্য দৃষ্টান্ত! গর্ভপাত: টেক্সাসে মিডওয়াইফ গ্রেপ্তার, ফুঁসছে রাজ্য! হিজবুল্লাহর প্রতি সমর্থন! মার্কিন ভিসা পাওয়া অধ্যাপককে কেন ফেরত পাঠানো হলো? ট্রাম্পের নির্দেশে এল সালভাদরের মেগা কারাগারে ভয়ঙ্কর দৃশ্য! দেরায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় নিহত ২, শোকের ছায়া! কানাডার ল্যান্ডফিলে মিলল আরও এক নারীর দেহ, সিরিয়াল কিলারের নৃশংসতা! ভ্রমণে সাদা স্নিকার: কেন এটি সেরা?

নিজের বিতর্কিত শিল্পের বিষয়ে মুখ খুললেন শিল্পী অ্যালেন জোনস: ক্যারিয়ারে কি প্রভাব ফেলেছিল?

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Monday, March 17, 2025,

ব্রিটিশ শিল্পী অ্যালেন জোন্স: বিতর্ক আর শিল্পের দ্বন্দ্বে এক জীবনের গল্প। বিখ্যাত ব্রিটিশ শিল্পী অ্যালেন জোন্স, যিনি একইসঙ্গে চিত্রকর, ভাস্কর এবং প্রিন্ট-মেকার হিসেবে পরিচিত, তাঁর কাজের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি লাভ করেছেন।

তবে তাঁর খ্যাতি শুধু শিল্পকর্মের জন্যেই নয়, বরং তাঁর কাজের বিষয়বস্তু এবং তা নিয়ে বিতর্কের কারণেও তিনি বিশেষভাবে আলোচিত। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে জোন্স তাঁর জীবনের নানা দিক নিয়ে কথা বলেছেন, বিশেষ করে তাঁর বিতর্কিত ‘ফেটিশ ফার্নিচার’ সিরিজ নিয়ে, যা একসময় শিল্পীজীবনকে বেশ কঠিন করে তুলেছিল।

১৯৩৭ সালে লন্ডনে জন্ম নেওয়া জোন্সের শৈশব কেটেছে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ডামাডোলের মধ্যে। তাঁর বাবার শখের ছবি আঁকা দেখে শিল্পের প্রতি আগ্রহ জন্মে তাঁর।

রয়্যাল কলেজ অফ আর্ট থেকে বিতাড়িত হওয়ার পর শিক্ষকতার প্রশিক্ষণ নেন তিনি। এরপর ১৯৬০-এর দশকে তিনি পাড়ি জমান নিউইয়র্কে, যেখানে শিল্পীমহলে তাঁর কাজের পরিচিতি বাড়ে।

জোন্সের সবচেয়ে আলোচিত কাজগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো ‘ফেটিশ ফার্নিচার’ সিরিজ, যেখানে নারীদের শরীরকে বিভিন্ন আসবাবপত্রের আকারে উপস্থাপন করা হয়েছে। ‘হাটস্ট্যান্ড’, ‘চেয়ার’ এবং ‘টেবিল’ নামক এই ভাস্কর্যগুলোতে নারীদের পোশাক এবং ভঙ্গি নিয়ে কাজ করা হয়েছে, যা অনেকের কাছে আপত্তিকর মনে হয়েছে।

বিশেষ করে নারী অধিকার আন্দোলনের কর্মী এবং বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে এই কাজগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে। তাঁদের মতে, জোন্সের এই কাজগুলো নারী শরীরকে পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করে এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজের ধারণাকে সমর্থন করে।

জোন্স অবশ্য তাঁর কাজের অন্য একটি দিক তুলে ধরেন। তাঁর মতে, তিনি সমাজের প্রচলিত ধারণা এবং শিল্পের চিরাচরিত রীতিকে চ্যালেঞ্জ করতে চেয়েছিলেন। তিনি নারীদের শরীরকে শিল্পের একটি অংশ হিসেবে দেখেছেন, যেখানে দর্শক তাঁদের নিজস্ব দৃষ্টিকোণ থেকে শিল্পকর্মটি অনুভব করতে পারেন।

তাঁর কাজের মাধ্যমে তিনি মানুষের মনে গভীর চিন্তা জাগাতে চেয়েছিলেন, যা শিল্পের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক। সাক্ষাৎকারে জোন্স স্বীকার করেছেন যে, এই বিতর্ক তাঁর শিল্পীজীবনে অনেক বাধা সৃষ্টি করেছে।

তাঁর কাজ নিয়ে সমালোচনার ঝড় উঠলেও, তিনি তাঁর শিল্পকর্মের প্রতি অবিচল ছিলেন। তিনি মনে করেন, শিল্পীর কাজ হলো সমাজের প্রচলিত ধ্যান-ধারণাকে প্রশ্ন করা এবং নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা।

‘ফেটিশ ফার্নিচার’ ছাড়াও জোন্সের অন্যান্য উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে ‘বডি আর্মার’, যেখানে মডেল কেট মসের শরীরকে একটি বিশেষ পোশাকে উপস্থাপন করা হয়েছে। এই কাজটিও শিল্প সমালোচকদের মধ্যে আলোচনার জন্ম দিয়েছিল।

অ্যালেন জোন্সের কাজের মূল্যায়ন আজও চলমান। তাঁর শিল্পকর্ম একদিকে যেমন বিতর্কিত, তেমনি তা শিল্পকলার ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করে আছে।

তাঁর কাজ দর্শকদের মধ্যে গভীর চিন্তাভাবনার জন্ম দেয়, যা শিল্পের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। তথ্য সূত্র: আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT