1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 18, 2025 10:22 PM
সর্বশেষ সংবাদ:
টেনিসের অন্দরে ‘সিন্ডিকেট’, ফেটে পড়লেন শীর্ষ খেলোয়াড়রা! ফ্যালকন্সের ভবিষ্যৎ সংকটে! কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে? লুটনে মা ও দুই ভাইকে খুন, স্কুলে ৩০ শিশুকে হত্যার পরিকল্পনা! যুদ্ধ রুখতে জার্মানির বিশাল পদক্ষেপ! ৫00 বিলিয়ন ইউরোর ঘোষণা এআই-এর দৌরাত্ম্যে বাড়ছে অপরাধ, শঙ্কায় ইউরোপ! লুসি লেটবি: শিশুদের হত্যাকারী নার্সকে বাঁচাতে প্রাক্তন কর্মকর্তাদের ‘ধান্দাবাজি’! তরুণ বয়সের ‘ইনসেল’ সংস্কৃতি: ভয়ঙ্কর আকর্ষণ! বিচারককে অভিশংসনের ডাক ট্রাম্পের! তোলপাড় অভিবাসন ইস্যুতে চুল সোজা করার সেরা হেয়ার স্ট্রেইটনার, যা আপনার লুক বদলে দেবে! কান্না থামিয়ে দেখুন! ওতানির ব্যাটিং তাণ্ডবে টোকিও কাঁপছে, ডজর্সের জয়!

ব্রিটিশ টিভি-র ভবিষ্যৎ কী? ‘মারাত্মক ঝড়’-এর আশঙ্কা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Tuesday, March 18, 2025,

ব্রিটিশ টেলিভিশনে এক গভীর সংকট!

যুক্তরাজ্যের টেলিভিশন জগৎ এক কঠিন সময় পার করছে। অভিজ্ঞ প্রযোজক থেকে শুরু করে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেকেই এখন কাজ হারাচ্ছেন। এমনকি অনেকে জীবিকা নির্বাহের জন্য অন্য পেশা বেছে নিতে বাধ্য হচ্ছেন।

এই দুঃসময়ে ব্রিটিশ সংস্কৃতির গল্পগুলো ছোট পর্দায় আসার সম্ভাবনাও কমছে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন সিস্টার প্রোডাকশন কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা এলিজাবেথ মারডক।

মারডকের মতে, ব্রিটিশ টেলিভিশন শিল্প “এক ভয়ংকর ঝড়ের” মধ্যে পড়েছে। একদিকে যেমন সরকারি অর্থায়নে চলা চ্যানেলগুলোর (যেমন বিবিসি, চ্যানেল ৪) বাজেট কমছে, তেমনই বাড়ছে অনুষ্ঠান তৈরির খরচ।

দর্শকদের মধ্যে অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বা স্ট্রিমিং সাইটে (যেমন নেটফ্লিক্স, অ্যামাজন প্রাইম) অনুষ্ঠান দেখার প্রবণতা বাড়ছে। এর ফলে বিজ্ঞাপন থেকে এই চ্যানেলগুলোর আয়ও কমে গেছে। এই সবকিছু মিলিয়ে এক কঠিন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

বর্তমানে যুক্তরাজ্যে টেলিভিশন বাজারের পরিস্থিতি অনেকটা বদলে গেছে। এক সময়ের স্থানীয় বাজার এখন বিশ্ব বাজারের অংশ। এর ফলে একদিকে যেমন বিনিয়োগ বেড়েছে, তেমনই সৃজনশীলতা, উদ্যোক্তা এবং ব্রিটিশ সংস্কৃতির জন্য বড় ধরনের হুমকি সৃষ্টি হয়েছে।

মারডক মনে করেন, কোভিড মহামারীর পরে প্রোগ্রামিংয়ের সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল, যা এখন একটি চক্রের মতো কাজ করছে।

এই সংকটের একটি প্রধান কারণ হল, টেলিভিশন চ্যানেলগুলো এখন বেশি মনোযোগ দিচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের নাটক তৈরিতে, যা বিদেশে বিক্রি করা যাবে। এই কারণে যুক্তরাজ্যের স্থানীয় গল্পগুলো বলার সুযোগ কমে যাচ্ছে।

উদাহরণস্বরূপ, জনপ্রিয় টিভি প্রোগ্রাম “মি. বেটস ভার্সেস দ্য পোস্ট অফিস”-এর নির্বাহী প্রযোজক প্যাট্রিক স্পেন্স বলেছেন, “আজ যদি আমাদের এই প্রোগ্রামটি বানানোর কথা বলা হতো, তাহলে সম্ভবত আমরা রাজি হতাম না।”

পরিসংখ্যান বলছে, বর্তমানে সরকারি অর্থায়নে চলা চ্যানেলগুলোতে প্রচারিত অনুষ্ঠানের প্রায় ৮০ শতাংশই ব্রিটিশ, যেখানে স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোতে এই সংখ্যাটা মাত্র ১০ শতাংশ।

মারডক মনে করেন, এই সংকট কাটিয়ে উঠতে সব ধরনের বিকল্প বিবেচনা করা উচিত। তিনি আরও বলেন, “যখন দেখি, অনেক মানুষ কাজ হারাচ্ছে, অথবা এই শিল্প ছেড়ে চলে যাচ্ছে, তখন বোঝা যায় পরিস্থিতি কতটা কঠিন।

এই অবস্থায় ঝুঁকি নেওয়ার মতো মানসিকতা কমে যাচ্ছে, যা আমাদের শিল্পের জন্য ভালো নয়।”

টেলিভিশন শিল্পের এই সংকট কাটিয়ে উঠতে কিছু উপায় নিয়ে আলোচনা চলছে। কেউ কেউ মনে করেন, স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর ওপর কর আরোপ করা যেতে পারে, যা স্থানীয় কনটেন্ট তৈরিতে সহায়তা করবে। তবে, এই বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

বর্তমানে, এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত অনেক অভিজ্ঞ ব্যক্তি হয় অন্য কোনো পেশায় ঝুঁকছেন, না হয় ছোটখাটো কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন। বিবিসির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্ব বাজারের প্রতিযোগিতা সত্ত্বেও তারা ব্রিটিশ সংস্কৃতি এবং প্রাসঙ্গিক কনটেন্ট তৈরিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT