ড্রেক বনাম ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপ: মানহানির অভিযোগে রেকর্ড লেবেলের বিরুদ্ধে মামলা।
আন্তর্জাতিক খ্যাতি সম্পন্ন র্যাপ তারকা ড্রেক তার নিজস্ব রেকর্ড লেবেল ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপের (ইউএমজি) বিরুদ্ধে মানহানির অভিযোগ এনেছেন। কেন্ড্রিক লামারের একটি বিতর্কিত গানের কারণে এই মামলাটি হয়েছে।
জানা গেছে, এই গানে ড্রেকের সম্মানহানি হয়েছে এবং তাকে হয়রানি করা হয়েছে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, কেন্ড্রিক লামারের ‘নট লাইক আস’ শিরোনামের গানটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। গানটিতে ড্রেক-কে একজন ‘সার্টিফাইড পেডোফাইল’ হিসেবে চিত্রিত করা হয়।
এছাড়াও, গানে ড্রেকের বাড়ির ছবি ব্যবহার করা হয় এবং সেখানে যৌন অপরাধীদের বাড়ির ঠিকানা চিহ্নিত করার মতো বিষয়ও উপস্থাপন করা হয়।
গানের বিষয়বস্তু প্রকাশের পর ড্রেকের বাড়ির বাইরে গুলি ও অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনার সৃষ্টি হয়। ড্রেক এর আইনজীবীর ভাষ্য অনুযায়ী, ইউএমজি এই ‘মিথ্যা ও বিপজ্জনক’ তথ্য থেকে লাভবান হয়েছে এবং এর ফলস্বরূপ ড্রেক-কে সহিংসতার শিকার হতে হয়েছে।
অন্যদিকে, ইউএমজি তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বলছে, গানটি ছিল নিছক শৈল্পিক স্বাধীনতা এবং এর মাধ্যমে কাউকে হেয় করার কোনো উদ্দেশ্য ছিল না।
ইউএমজি’র মতে, র্যাপ গানের জগতে এ ধরনের আক্রমণাত্মক গান নতুন নয় এবং এটাকে সেভাবেই দেখা উচিত। তারা আরও জানায়, ড্রেক নিজেও অতীতে তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের বিরুদ্ধে এ ধরনের গান তৈরি করেছেন।
ইউএমজি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তারা ড্রেকের এই মামলা খারিজ করার জন্য আবেদন করেছে। তাদের দাবি, ‘নট লাইক আস’ গানটি কেবল একটি মতামত, কোনো বাস্তব ঘটনা নয়।
তারা মনে করে, ড্রেক নিজেই র্যাপ গানের মাধ্যমে অন্যদের আক্রমণ করেছেন এবং এখন তার এই দ্বিমুখী আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়।
ড্রেকের আইনজীবী মাইকেল জে. গটলিব ইউনিভার্সাল মিউজিক গ্রুপের এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, ইউএমজি তাদের শেয়ারহোল্ডার, শিল্পী এবং সাধারণ মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে ফেরানোর চেষ্টা করছে।
তাদের আসল উদ্দেশ্য হলো, বিপজ্জনক ভুল তথ্য থেকে লাভ করা এবং এর দায় থেকে মুক্তি পাওয়া। তিনি আরও যোগ করেন, তারা এই মামলায় জয়ী হবেন এবং ইউএমজি’র শিল্পী নির্যাতনের দীর্ঘ ইতিহাস উন্মোচন করবেন।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান