স্টাফ রিপোর্টার।
ঢাকা, ২০ মার্চ ২০২৫: গাজার নিরীহ নারী, শিশু ও সাধারণ মানুষের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত হামলার বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গবেষণা কেন্দ্র।
সংগঠনটির চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, “ইসরায়েলের আগ্রাসন একটি জঘন্য মানবতাবিরোধী অপরাধ, যা বিশ্বের বিবেকবান মানুষের তীব্র প্রতিবাদের দাবি রাখে।”
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিশ্ব সম্প্রদায়ের চোখের সামনে ফিলিস্তিনি জনগণের ওপর যেভাবে গণহত্যা চালানো হচ্ছে, তা ইতিহাসের অন্যতম ভয়াবহ নৃশংসতা। সংগঠনটি ফিলিস্তিনের মুক্তিসংগ্রামকে ন্যায়সংগত লড়াই বলে উল্লেখ করে এবং ভারতের মতো কিছু দেশের ইসরায়েলকে অস্ত্র সরবরাহের ঘটনাকে নিন্দনীয় বলে আখ্যা দেয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২০২১ সালে বাংলাদেশের ই-পাসপোর্ট থেকে “ইসরায়েল ব্যতীত” শব্দগুচ্ছ সরিয়ে ফেলা এবং সামরিক পর্যায়ে ইসরায়েলের প্রযুক্তি ব্যবহারের অভিযোগ গভীর উদ্বেগজনক। সংগঠনটির মতে, এসব কর্মকাণ্ড বাংলাদেশের কূটনৈতিক অবস্থানকে দুর্বল করেছে এবং স্বাধীনতাকামী জনগণের প্রতি বাংলাদেশের ঐতিহ্যগত সমর্থনকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে।
রমজানের পবিত্র সময়ে গাজায় হামলার ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গবেষণা কেন্দ্র জানায়, এই নৃশংসতা প্রমাণ করে যে ইসরায়েল কখনোই শান্তি চায়নি, বরং তারা ফিলিস্তিনি জনগণকে নিশ্চিহ্ন করার লক্ষ্যে কাজ করছে। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা, হাসপাতাল ও আবাসিক ভবনে নির্বিচারে বোমা হামলা চালানো স্পষ্টতই যুদ্ধাপরাধ।
ইঞ্জিনিয়ার এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, “আমরা নিপীড়িত জাতি ও জনগণের পক্ষে। মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েল রাষ্ট্র, তার মদদদাতা শেখ হাসিনা সরকার, মোদি সরকার এবং যুদ্ধবাজ প্রশাসনগুলোর বিরুদ্ধে আমরা তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানাই।”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী গবেষণা কেন্দ্র বিশ্ব সম্প্রদায়, বিশেষ করে মুসলিম বিশ্বকে আহ্বান জানিয়েছে—ফিলিস্তিনের পক্ষে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে, ইসরায়েলের সঙ্গে সব ধরনের কূটনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করতে এবং এই গণহত্যা বন্ধে জরুরি উদ্যোগ নিতে।