লায়ন রাকেশ কুমার ঘোষ
(স্টাফ রিপোর্টার)।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের জাল ভোট দিতে আসা মোঃ কাউসার মিয়া নামের এক যুবক কে আটক করেছে পুলিশ। এসময় অন্য দুটি কেন্দ্রে ৪ পোলিং এজেন্টের জরিমানা ও জেল প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (৫ জুন) সকালের দিকে উপজেলার হরসপুর ইউনিয়নের আউলিয়া নগর মোহাম্মদীয়া আলিম মাদ্রাসা কেন্দ্র থেকে জাল ভোট দিতে আসা যুবককে আটক করে ৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাইনুদ্দীন।
এসময় কাঞ্চনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে মুকট প্রতীকের পুলিং এজেন্ট মামুন ও প্রজাপতি প্রতীকের এজেন্ট সহিদ মিয়াকে আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৫ হাজার টাকা করে ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনের আচরণবিধি প্রতিপালনে নিয়োজিত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মোজাহেরুল হক।
এছাড়াও ছতরপুর উচ্চ বিদ্যালয় মহিলা ভোটকেন্দ্রে পোলিং এজেন্ট হারুন মিয়া (২৪) ও শাহানা বেগমকে (৫২) হাতেনাতে আটক করা হয়। পরে দুজনকে দণ্ডবিধির-১৮৬০-এর ১৮৮ ধারায় তিন দিন করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
সকাল ৮টা থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে চলবে এক টানা বিকেল ৪টা পর্যন্ত। এদিকে নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ করতে প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর রয়েছে বলে জানান বিজয়নগর উপজেলা নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার সৈয়দ মাহবুবুল হক। তিনি জানান, নির্বাচন সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পুলিশের, র্যাব, বিজিবি, আনসারের পাশাপাশি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছে।
নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন, ভাইস চেয়ারম্যান (পুরুষ) পদে ৯ জন এবং মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ৫জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। ১০টি ইউনিয়ন নিয়ে বিজয়নগর উপজেলা গঠিত। এ উপজেলায় ভোটার সংখ্যা ২ লক্ষ ১০ হাজার ৫৩৮। মোট ভোট কেন্দ্র ৭৮টি।
এদিকে চেয়ারম্যান পদে ৬ জন প্রার্থী থাকলেও ভোটের মাঠে সক্রিয় ৩ জন প্রার্থী আছেন,প্রার্থীরা হলেন- বর্তমান উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাছিমা মুকাই আলী ঘোড়া প্রতীক, লিরিক গ্রুপের ডিরেক্টর আল জাবের (জাবেদ আহমেদ) আনারস প্রতীক ও ইঞ্জিনিয়ার রফিকুল ইসলাম
কাপ পিরিচ প্রতীক।