যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক সিনেটর জো মানচিন আগামী সেপ্টেম্বরে তার স্মৃতিকথা প্রকাশ করতে যাচ্ছেন। বইটির নাম রাখা হয়েছে ‘ডেড সেন্টার: ইন ডিফেন্স অফ কমন সেন্স’ (Dead Center: In Defense of Common Sense)।
মঙ্গলবার সেন্ট মার্টিন প্রেস এই ঘোষণা দেয়। পশ্চিম ভার্জিনিয়ার এই রাজনীতিক দীর্ঘদিন ধরেই নিজেকে একজন ‘স্বাধীনচেতা’ হিসেবে পরিচয় দিয়ে এসেছেন।
সিনেটে তার মেয়াদকালে তিনি প্রায়ই ডেমোক্রেট দলের নীতিমালার সমালোচনা করতেন। এমনকি ডেমোক্রেট দলের সামান্য সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকার সময়ও তিনি দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন।
মানচিন নিজেকে কোনো নির্দিষ্ট আদর্শের অনুসারী হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতেন না। ২০১০ সাল থেকে সিনেটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করা মানচিন গত বছর ঘোষণা করেন যে তিনি আর নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন না।
উল্লেখ্য, পশ্চিম ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যে সাধারণত রিপাবলিকানদের জয়জয়কার থাকে, সেখানে ডেমোক্রেট হিসেবে মানচিনের জয় পাওয়াটা ছিল বেশ ব্যতিক্রমী।
গত গ্রীষ্মে তিনি ডেমোক্রেট দল ত্যাগ করেন এবং নিজেকে স্বতন্ত্র হিসেবে ঘোষণা করেন, যদিও তিনি এখনো ডেমোক্রেটদের সঙ্গেই কাজ করছেন।
বইটিতে নিজের রাজনৈতিক জীবনের নানা দিক তুলে ধরেছেন মানচিন। তিনি বলেছেন, ‘ডেড সেন্টার’ বইটি আসলে উভয় পক্ষের চরমপন্থার বিরুদ্ধে তার ‘স্বাধীনতা ঘোষণার’ দলিল।
একইসঙ্গে, এটি কিভাবে সরকার পরিচালনা করা উচিত, সেই বিষয়েও দিকনির্দেশনা দেবে। মানচিনের মতে, নেতৃত্বের মূল বিষয় হলো আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে কাজ করা, শ্রদ্ধাবোধ বজায় রাখা এবং সমস্যা সমাধানে আগ্রহী হওয়া।
বইটিতে মুখবন্ধ লিখেছেন প্রাক্তন ফুটবল কোচ নিক সেবান। যিনি এই বছর কলেজ ফুটবল হল অফ ফেম-এ অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছেন।
সেন্ট মার্টিন প্রেসের তথ্য অনুযায়ী, মানচিন তার বইয়ে পশ্চিম ভার্জিনিয়ার কয়লাখনি থেকে সিনেটের ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছানোর গল্প তুলে ধরবেন।
প্রকাশনা সংস্থা এটিকে ‘আকর্ষণীয় এবং তথ্যপূর্ণ স্মৃতিকথা’ হিসেবে বর্ণনা করেছে। যেখানে মানচিন তার জীবনের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তগুলো, কঠিন সিদ্ধান্তগুলো এবং একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবে তার মূল নীতিগুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন।
বইটিতে সিনেট ও হোয়াইট হাউসের ভেতরের অজানা গল্প এবং সরকারের কার্যক্রম সম্পর্কেও আলোকপাত করা হয়েছে।
তথ্য সূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস