**ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর পক্ষে যুদ্ধরত দুই চীনা নাগরিককে আটকের দাবি, বেইজিংয়ের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে কিয়েভ**
ইউক্রেন জানিয়েছে, তারা দেশটির পূর্বাঞ্চলে রুশ সেনাদের হয়ে যুদ্ধ করা দুইজন চীনা নাগরিককে আটক করেছে।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি মঙ্গলবার এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানান।
একইসঙ্গে কিয়েভ সরকার চীন সরকারের কাছে ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছে এবং মিত্র দেশগুলোর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইছে।
জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে বলেন, “আমাদের সেনারা রুশ সেনাবাহিনীর হয়ে যুদ্ধ করা দুইজন চীনা নাগরিককে আটক করেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় দনেৎস্ক অঞ্চলে। তাদের কাছ থেকে পরিচয়পত্র, ব্যাংক কার্ড ও ব্যক্তিগত তথ্য উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, তাদের হাতে এমন তথ্য রয়েছে যে, রুশ বাহিনীর সঙ্গে আরও অনেক চীনা নাগরিক যুদ্ধ করছে।
অন্যদিকে, ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আন্দ্রি সিবিহা জানিয়েছেন, চীনের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সকে তলব করে কিয়েভ সরকার ঘটনার ব্যাখ্যা চেয়েছে।
তিনি বলেন, “ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসনে চীনা নাগরিকদের অংশগ্রহণ চীনের শান্তি-প্রচেষ্টার পরিপন্থী এবং জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য হিসেবে বেইজিংয়ের বিশ্বাসযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে।
এই বিষয়ে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি চীন কিংবা রাশিয়া।
তবে চীন বরাবরই ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে নিরপেক্ষ থাকার কথা বলে আসছে।
তারা কোনো পক্ষকে সরাসরি সামরিক সহায়তা দিচ্ছে না বলেও দাবি করে।
কিন্তু রাশিয়া-চীনের মধ্যে গভীর রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক রয়েছে।
পশ্চিমা দেশগুলো মনে করে, চীন মস্কোর আগ্রাসনে সহায়তা করছে।
এই ঘটনার প্রেক্ষাপটে, ইউক্রেন চায় যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপসহ বিশ্ব সম্প্রদায়ের শান্তিপ্রিয় দেশগুলো দ্রুত পদক্ষেপ নিক।
জেলেনস্কি বলেন, “আমি মনে করি, যুক্তরাষ্ট্রের এই ঘটনাটির প্রতি আরও মনোযোগ দেওয়া উচিত।
যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হওয়ায় উভয়পক্ষে বিদেশি যোদ্ধাদের আনাগোনা বাড়ছে।
ইউক্রেন ইতোমধ্যেই তাদের পশ্চিমা মিত্রদের কাছে রাশিয়ার পূর্বাঞ্চলে উত্তর কোরিয়ার সেনা মোতায়েনের বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
কিয়েভ সরকার চীনের সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে চাইছে।
গত বছর ইউক্রেনের তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রো কুলেবা চীন সফর করেন।
সম্প্রতি ইউক্রেন চীনে নতুন রাষ্ট্রদূতও নিয়োগ দিয়েছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা