নিউ ইয়র্কের একটি দুগ্ধ খামারে গত মাসে অভিযান চালিয়ে এক মা ও তাঁর তিন সন্তানকে আটক করেছিল মার্কিন অভিবাসন ও কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইস)। অবশেষে মুক্তি মিলেছে তাঁদের।
নিউ ইয়র্কের গভর্নর ক্যাথি হচুল সোমবার এই খবর জানান।
জানা গেছে, গত মাসের ২৭ তারিখে, কর্তৃপক্ষের অভিযানে ওই পরিবারটিকে আটক করা হয়।
স্থানীয় গণমাধ্যম সূত্রে খবর, শিশু নির্যাতনের অভিযোগের তদন্তের অংশ হিসেবে পুরাতন ম্যাকডোনাল্ডস ফার্মে তল্লাশি চালানো হয়।
এই সময় ওই খামারে বসবাস করা ওই মা ও তাঁর সন্তানদের আটক করা হয়।
এই পরিবারের সদস্যদের ‘অবৈধ অভিবাসী’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
আটককৃতদের মধ্যে ছিলেন একজন তৃতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী এবং দুজন কিশোর।
তাঁদেরকে টেক্সাসের কার্নেস কাউন্টি ডিটেনশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়, যা তাঁদের বাড়ি থেকে প্রায় ১,৮০০ মাইল দূরে অবস্থিত।
এই ঘটনার পরেই স্থানীয় সরকার, স্কুলের শিক্ষক এবং সম্প্রদায়ের সদস্যরা তাঁদের মুক্তির দাবিতে সোচ্চার হন।
ঘটনার প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে, স্যাকটস হারবার সেন্ট্রাল স্কুল জেলার প্রধান শিক্ষিকা জেইম কুক বলেন, “আইস আমাদের তিনজন শিক্ষার্থীকে ধরে নিয়ে গিয়েছিল, অথচ তারা সবাই নিয়ম মেনে চলছিলো।
তারা অভিবাসন আদালতের কাছে নিজেদের কথা জানিয়েছিল এবং নির্ধারিত তারিখে হাজিরাও দিয়েছিল।
তারা কোনো অপরাধী ছিল না।”
বিষয়টি নিয়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়ে গভর্নর হচুল বলেন, “আমরা সবসময় ফেডারেল ইমিগ্রেশন এনফোর্সমেন্টের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তুত, যদি তারা গ্যাং সদস্য বা সহিংস অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায়।
কিন্তু আমি এমন কোনো নিষ্ঠুর পদক্ষেপ সমর্থন করি না, যা শিশুদের স্কুল থেকে দূরে রাখে বা পরিবারগুলোকে ছিন্নভিন্ন করে দেয়।”
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন আইন অনুযায়ী, আইস-এর প্রধান কাজ হলো দেশটির অভিবাসন আইনগুলো কার্যকর করা।
তবে এই ধরনের ঘটনায় অভিবাসন আইনের প্রয়োগ নিয়ে অনেক সময় বিতর্ক সৃষ্টি হয়।
আটক হওয়া পরিবারের সদস্যরা এখন তাঁদের বাড়িতে ফিরে যাচ্ছেন।
নিউ ইয়র্ক ইমিগ্রেশন কোয়ালিশন জানিয়েছে, পরিবারটি বর্তমানে তাঁদের অভিবাসন বিষয়ক আইনি প্রক্রিয়া কিভাবে সম্পন্ন করা যায়, সেই বিষয়ে কাজ করছে এবং তাঁরা এই মুহূর্তে ব্যক্তিগত গোপনীয়তা রক্ষার আবেদন করেছেন।
তথ্যসূত্র: সিএনএন