সোশ্যাল মিডিয়ার যুগে, ছবি সম্পাদনার ধারণাটি এখন খুবই পরিচিত। সৌন্দর্য এবং তারুণ্যের ধারণা তৈরিতে এর প্রভাব নিয়ে প্রায়ই আলোচনা হয়।
সম্প্রতি, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একজন সেলিব্রিটি, রিয়েলিটি টিভি তারকা রামোনা সিঙ্গারকে নিয়ে এমন একটি ঘটনা ঘটেছে, যা আবারও এই বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
রামোনা সিঙ্গার, যিনি “রিয়েল হাউজওয়াইভস অফ নিউ ইয়র্ক সিটি” নামক টিভি শো-এর মাধ্যমে পরিচিত, সম্প্রতি তার ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি ছবি পোস্ট করেন।
ছবিতে তাকে বেশ কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে ফ্লোরিডার পাম বিচে দেখা যায়। ছবিটির ক্যাপশনে তিনি লেখেন, “পাম বিচে আরেকটি দারুণ রাত।
কিন্তু ছবিটি পোস্ট হওয়ার পরেই নেটিজেনদের একাংশ ছবিটিতে সম্পাদিত হওয়ার অভিযোগ তোলেন। তাদের মতে, সিঙ্গার ছবিতে নিজের ত্বককে আরও মসৃণ এবং তারুণ্যদীপ্ত দেখাতে ডিজিটাল প্রযুক্তির সাহায্য নিয়েছেন।
কারো কারো মতে, ছবিতে তার চেহারার পরিবর্তন এতটাই বেশি ছিল যে তাকে নিজের মেয়ে অ্যাভারি সিঙ্গারের চেয়েও ছোট দেখাচ্ছিল।
এই ঘটনার পরে, জনপ্রিয় ছবি সম্পাদনা অ্যাপ্লিকেশন ‘ফেইসটিউন’ একটি মজাদার প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা মূল ঘটনার একটি প্রতিবেদনের সঙ্গে, সম্পাদনা ছাড়া রামোনার একটি ছবি পোস্ট করে।
ক্যাপশনে তারা লিখে, “কেন আমাকেও এর মধ্যে টেনে আনা হলো, বলুন তো?”
যদিও অনেকে ছবি সম্পাদনার অভিযোগ করেছেন, রামোনা সিঙ্গার তা অস্বীকার করেছেন। তিনি জানান, ছবিটি সম্ভবত তার বন্ধুদের দ্বারাই সম্পাদিত হয়েছে।
সোশ্যাল মিডিয়ার এই যুগে, ছবি সম্পাদনার মাধ্যমে নিজেদের উপস্থাপন করার প্রবণতা বেড়েছে। অনেক সময়, তারকা এবং প্রভাবশালী ব্যক্তিরা তাদের ছবিতে এমন পরিবর্তন আনেন যা তাদের প্রকৃত চেহারার থেকে ভিন্ন দেখায়।
এই ধরনের কার্যকলাপ একদিকে যেমন নিজেদের ভালো দেখানোর একটি প্রচেষ্টা, তেমনই এটি অন্যদের মধ্যে একটি ভুল ধারণার জন্ম দিতে পারে।
রামোনা সিঙ্গারের ঘটনাটি আবারও মনে করিয়ে দেয়, সামাজিক মাধ্যমে প্রদর্শিত ছবিগুলোর সত্যতা নিয়ে আমাদের সচেতন থাকতে হবে। ছবি সম্পাদনার এই ক্রমবর্ধমান প্রবণতা, সৌন্দর্য এবং আত্ম-পরিচয়ের ধারণাকে কীভাবে প্রভাবিত করছে, তা নিয়ে নতুন করে ভাবার অবকাশ রয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল