বিখ্যাত অভিনেত্রী সালমা হায়েক পিনল্ট, যিনি বর্তমানে তাঁর সৌন্দর্য চর্চা এবং মেয়ে ভ্যালেন্টিনার সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে সংবাদে এসেছেন। নিজের সৌন্দর্য ধরে রাখতে তিনি খুব বেশি কিছু করেন না, তবে নিয়মিত কিছু বিষয় অনুসরণ করেন।
সম্প্রতি তিনি একটি নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি শুরু করেছেন, যা তাঁর ত্বকের জন্য উপকারী।
সালমা জানান, তিনি ত্বক টানটান করার জন্য আলথেরাপি প্রাইম (Ultherapy Prime) ব্যবহার করছেন। এই চিকিৎসা পদ্ধতির মাধ্যমে ঘাড়ের চামড়া এবং অন্যান্য স্থানের ত্বককে উন্নত করা যায়।
তিনি জানান, এই পদ্ধতির ব্যবহারের কারণ ছিল তাঁর ঘাড়ের ত্বকে বয়সের ছাপ দেখা দেওয়া। এই সমস্যার সমাধান খুঁজতে গিয়েই তিনি এই পদ্ধতির কথা জানতে পারেন।
চিকিৎসা নেওয়ার সময় প্রথমে তাঁর মনে হয়েছিল, তিনি যেন নিজেকে পরীক্ষার জন্য ব্যবহার করছেন! তবে কয়েক সপ্তাহ পর তিনি বুঝতে পারেন, এই পদ্ধতিটি তাঁর জন্য সঠিক।
সালমা আরও জানান, এই চিকিৎসা পদ্ধতি তাঁকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে।
তবে, সালমার সৌন্দর্যচর্চার রহস্য শুধু এই একটি পদ্ধতির মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। তাঁর রূপচর্চার গুরুত্বপূর্ণ দিকটি হল তাঁর ১৭ বছর বয়সী মেয়ে ভ্যালেন্টিনা।
সালমা বলেন, “ভ্যালেন্টিনা সবকিছু জানে।”
ভ্যালেন্টিনা বিভিন্ন ধরনের সৌন্দর্য পণ্য সম্পর্কে এত বেশি জানে যে, তিনি নিজেই মাঝে মাঝে অবাক হয়ে যান।
সালমা বলেন, “আমি জানতে চাই, ওগুলো কী? আর ও বলে, ‘ওহ, এটা এই কাজের জন্য…’। আমি ওকে কিছু শেখাতে পারি না, ও-ই বিশেষজ্ঞ।”
ভ্যালেন্টিনা প্রায়ই কোরিয়াটাউন থেকে বিভিন্ন সৌন্দর্য পণ্য কিনে আনে।
সালমা বলেন, “আমি ওকে বলি আমার জন্যও কিছু আনতে। কিন্তু সে সবসময় ভিন্ন কিছু নিয়ে আসে। সে বলে, ‘এটা এখন নতুন, এটা ব্যবহার করে দেখ।’ আমি ব্র্যান্ডগুলোর নামও জানি না, তবে ও এইসব নিয়ে খুব উৎসাহী।”
মেয়ের ১৭তম জন্মদিনে সালমা সামাজিক মাধ্যমে একটি আবেগপূর্ণ পোস্ট করেছিলেন।
যেখানে তিনি লেখেন, মেয়ে বড় হয়ে যাচ্ছে, এই বিষয়টি তাঁকে কিছুটা দুশ্চিন্তায় ফেলেছে।
তিনি আরও যোগ করেন, ভ্যালেন্টিনা তাঁকে সবসময় হাসিখুশি রাখে, অনেক কিছু শেখায়, এবং জীবনকে আরও সুন্দর করে তোলে।
সালমা জানান, একজন মেক্সিকান-লেবানিজ মা হিসেবে তাঁর জন্য মেয়েকে কাছ থেকে দূরে রাখাটা কঠিন।
তবে তিনি ও তাঁর স্বামী, ফরাসি ব্যবসায়ী ফ্রাঁসোয়া-হেনরি পিনল্ট, এই বিষয়ে অনেক দিন ধরেই আলোচনা করছেন।
সালমা জানান, তিনি তাঁর পরিবারের জন্য ১৮ বছর উৎসর্গ করেছেন, তবে মেয়ে বড় হয়ে গেলে তিনি সমাজ এবং নিজের কাজের প্রতি আরও বেশি মনোযোগ দিতে চান।
তাঁর স্বামীও এতে খুবই খুশি।
তথ্য সূত্র: পিপল