চীনের রাজধানী বেজিংয়ে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ও বালুঝড়ের কারণে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। শনিবার (স্থানীয় সময়) শহরটিতে বাতাসের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে শত শত ফ্লাইট বাতিল করতে হয়েছে, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন পার্ক ও ঐতিহাসিক স্থানগুলো।
জানা গেছে, গত ৭৫ বছরের মধ্যে এই অঞ্চলের মানুষ এমন ভয়াবহ বাতাসের সাক্ষী হয়নি।
বেজিংয়ের দুটি প্রধান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর, বেজিং ক্যাপিটাল ও ড্যাক্সিং ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে শনিবার দুপুর ২টা পর্যন্ত ৬৯৩টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে। আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে, বিশেষ করে দেশটির উত্তর ও উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে।
শুধু বিমান চলাচল নয়, বাতিল করা হয়েছে অনেক ট্রেনের যাত্রা। কোনো কোনো অঞ্চলে বাতাসের গতিবেগ ঘণ্টায় ১৪৮ কিলোমিটার পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে।
ঝড়ের কারণে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইউনিভার্সাল স্টুডিও থিম পার্ক। এছাড়া, পর্যটকদের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বেজিংয়ের ঐতিহ্যবাহী স্থানগুলো, যেমন ফরবিডেন সিটি, সামার প্যালেস ও টেম্পল অব হেভেন।
ফুটবল ম্যাচসহ অন্যান্য বহিরঙ্গন খেলাধুলাও স্থগিত করা হয়েছে।
আসলে, চীনের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত গোবি ও তাকলামাকান মরুভূমি থেকে এই বালুঝড়ের সৃষ্টি হয়। শুষ্ক জলবায়ু এবং এই মরুভূমিগুলোর কাছাকাছি অবস্থানের কারণে বেজিংয়ে প্রায়ই এমন ঘটনা ঘটে।
বালুঝড়ের কারণে দৃশ্যমানতা শূন্যের কাছাকাছি নেমে আসে, যা শহরবাসীর জন্য চরম দুর্ভোগ বয়ে আনে। এছাড়া, বালু উড়ে এসে ঘরবাড়ি ও যানবাহনের ক্ষতি করে।
চীন সরকার দীর্ঘদিন ধরে এই বালুঝড়ের প্রভাব কমাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে আসছে।
বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা চলছে। তবে আবহাওয়া অফিসের সতর্কবার্তা অনুযায়ী, আগামী কয়েক দিন এই পরিস্থিতি বজায় থাকতে পারে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস