একটি পরিবারের অবকাশ যোজনার বিষয়ে এক নারীর অসন্তুষ্টি নিয়ে সম্প্রতি একটি ঘটনা সামাজিক মাধ্যমে বেশ আলোচনার জন্ম দিয়েছে। যেখানে স্বামী, স্ত্রীর মতামত ছাড়াই বন্ধু ও তার পরিবারকে তাদের পূর্বনির্ধারিত ভ্রমণে যুক্ত করেন।
যুক্তরাজ্যের একটি অনলাইন ফোরামে নিজের অভিজ্ঞাতা বর্ণনা করে ওই নারী জানান, তাদের ১৬ বছর বয়সী মেয়ের পরীক্ষার ফল প্রকাশের আনন্দ উপভোগ করতে স্বামী ও মেয়ের সাথে ১০ দিনের জন্য একটি অবকাশ যাপনের পরিকল্পনা ছিল।
কিন্তু তিনি জানতে পারেন, তার স্বামীর এক বন্ধু, যিনি সম্পর্কে খুব ঘনিষ্ঠ নন, তার বান্ধবী ও তাদের দুটি সন্তানকে নিয়ে একই সময়ে একই হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করেছেন। এমনকি, এই বিষয়টি তাদের কাছে গোপন রাখা হয়েছিল এবং বিমানবন্দরে সারপ্রাইজ দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল।
ওই নারীর ভাষ্যমতে, এই বিষয়ে তার কোনো মতামত নেওয়া হয়নি। তিনি আরও জানান, অবকাশ যাপনের মূল উদ্দেশ্য ছিল মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া এবং একান্তভাবে নিজেদের মতো করে সময় কাটানো।
কিন্তু এখন অপরিচিত কিছু মানুষের সাথে সময় কাটাতে হওয়ায় তিনি বেশ অস্বস্তি বোধ করছেন। বিশেষ করে, নিজের শারীরিক গঠন নিয়ে তিনি কিছুটা উদ্বিগ্ন, কারণ অবকাশের সময় তিনি সাধারণত মেকআপ করা থেকে বিরত থাকেন এবং নিজেকে হালকা অনুভব করেন।
ওই নারী আরও জানান, স্বামীর এমন সিদ্ধান্তে তিনি হতাশ এবং নিজের ব্যক্তিগত পরিসর হারানোর মতো অনুভব করছেন। তার মতে, স্বামী তার অনুভূতির গুরুত্ব দিচ্ছেন না এবং বিষয়টিকে তিনি ‘অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া’ হিসেবে দেখছেন।
বিষয়টি নিয়ে অনলাইনে আলোচনা শুরু হলে, অনেকেই ওই নারীর প্রতি সমর্থন জানান। তারা জানান, এমন পরিস্থিতিতে তারা একই রকম প্রতিক্রিয়া দেখাতেন।
অনেকে পরামর্শ দেন, অবকাশের সময় তিনি যেন তার নিজের মতো করে সময় কাটান, এবং অন্যদের সাথে মিশে যেতে বাধ্য না হন।
বিবাহিত জীবনে পারস্পরিক বোঝাপড়া ও আলোচনার গুরুত্ব অপরিসীম। এই ঘটনাটি সেই সত্যটিই পুনরায় প্রমাণ করে, যেখানে একটি ছোট সিদ্ধান্তও সম্পর্কের উপর বড় প্রভাব ফেলতে পারে।
তথ্য সূত্র: পিপল