এপ্রিল মাসের আকাশে এক বিরল দৃশ্য! এই মাসে রাতের আকাশে দেখা যাবে ‘ক্ষুদ্র চাঁদ’ বা ‘মাইক্রো মুন’। তবে চাঁদটিকে স্বাভাবিকের চেয়ে একটু ছোট দেখাবে।
কেন এমন হবে, চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আসলে, পৃথিবীর চারদিকে চাঁদের উপবৃত্তাকার কক্ষপথের কারণে এমনটা ঘটে।
নাসা’র বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, কক্ষপথে ঘোরার সময় চাঁদ যখন পৃথিবী থেকে সবচেয়ে দূরে থাকে, তখন তাকে ‘অ্যাপোজি’ বলা হয়। এই সময়ে চাঁদকে আকারে ছোট দেখায়, একেই ‘মাইক্রো মুন’ বলে।
এপ্রিল মাসের এই ক্ষুদ্র চাঁদ দেখা যাবে শনিবার সন্ধ্যায়, যা বাংলাদেশ সময় অনুযায়ী রবিবার ভোর ৬টা ২২ মিনিটে (৮:২২ p.m. ET)।
সাধারণত, একটি পূর্ণিমার চাঁদ যখন পৃথিবীর কাছাকাছি আসে, তখন তাকে ‘সুপার মুন’ বলা হয়। এই সুপার মুন-এর তুলনায় এবারের মাইক্রো মুন প্রায় ১৪ শতাংশ ছোট এবং ৩০ শতাংশ অনুজ্জ্বল দেখাবে।
নভেম্বরে আকাশে দেখা যাওয়া সুপার মুন-এর থেকে এই ক্ষুদ্র চাঁদের দূরত্ব প্রায় ৪৯,০০০ কিলোমিটার বেশি হবে।
এই মাসের পূর্ণিমার চাঁদ ‘গোলাপী চাঁদ’ নামেও পরিচিত। কিন্তু কেন এর এমন নামকরণ?
উত্তরটা লুকিয়ে আছে প্রকৃতির বুকে। বসন্তের শুরুতে ফুল ফোটার সময়ে, বিশেষ করে উত্তর আমেরিকার কিছু অঞ্চলে ‘ফ্লক্স সাবুলাটা’ নামক এক ধরনের গোলাপী রঙের ফুল ফোটে।
এই ফুলের নাম অনুসারেই এপ্রিলের পূর্ণিমার চাঁদের এমন নামকরণ করা হয়েছে। তবে, চাঁদের উজ্জ্বলতা মূলত সূর্যের আলোর প্রতিফলনের কারণে হয়ে থাকে, তাই একে সাদা বা সোনালী আভা যুক্ত দেখায়।
শুধু এই ক্ষুদ্র চাঁদ নয়, এই বছর আরও অনেকগুলো মহাজাগতিক ঘটনার সাক্ষী থাকবে বিশ্ব।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বরে দেখা মিলবে সুপার মুন-এর। এছাড়াও, আগামী ৭ ও ৮ সেপ্টেম্বর ইউরোপ, আফ্রিকা, এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আমেরিকার কিছু অংশ, আলাস্কা এবং আন্টার্কটিকা থেকে একটি পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ দেখা যাবে, যা ‘ব্লাড মুন’ নামেও পরিচিত হবে।
২১ সেপ্টেম্বর একটি আংশিক সূর্যগ্রহণ হবে, যা অস্ট্রেলিয়া, আন্টার্কটিকা এবং প্রশান্ত মহাসাগর থেকে দৃশ্যমান হবে।
সুতরাং, যারা মহাকাশ ভালোবাসেন, তাঁদের জন্য এই বছরটা হতে চলেছে বেশ আকর্ষণীয়।
আপনারা চাইলে দূরবীক্ষণ যন্ত্র বা বাইনোকুলারের সাহায্যে এই মহাজাগতিক দৃশ্য উপভোগ করতে পারেন।
তথ্য সূত্র: সিএনএন