প্রাচীন একটি ভূমি-সেতু থেকে পাওয়া চোয়ালের হাড়, রহস্যময় মানব পূর্বপুরুষের সন্ধান দিল।
চীনের উপকূল এবং তাইওয়ানের মাঝে একসময় জলমগ্ন একটি ভূমি-সেতু ছিল। সেই অঞ্চলের কাছাকাছি ২০০৯ সালে, বাণিজ্যিক মৎস্য শিকারের জালগুলি সমুদ্রের গভীরে তলিয়ে যাওয়া একটি জীবাশ্ম খুঁজে পায়।
বিজ্ঞানীরা সেই জীবাশ্ম পরীক্ষা করে জানতে পারেন, এটি আসলে ‘ডেনিসোভান’ নামক এক মানব প্রজাতির চোয়ালের হাড়। মানুষের বিবর্তনের ইতিহাসে এই আবিষ্কার এক নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
ডেনিসোভানরা ছিলো নিয়ানডার্টাল এবং আধুনিক মানুষের জ্ঞাতিগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্ত, তবে তারা ছিলো একটি ভিন্ন প্রজাতি। এই চোয়ালের হাড়টিকে ‘পেনঘু ১’ নামে চিহ্নিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞানীরা মনে করেন, ডেনিসোভানরা একসময় এই অঞ্চলে বসবাস করত, যা বর্তমানে চীন ও তাইওয়ানের মাঝে বিস্তৃত। এই আবিষ্কারের ফলে, বিজ্ঞানীরা মানবজাতির আদি ইতিহাস সম্পর্কে আরও নতুন তথ্য জানতে পারবেন।
ডেনিসোভান জীবাশ্ম খুঁজে পাওয়া কঠিন, কারণ তাদের সম্পর্কে খুব বেশি প্রমাণ নেই। তাই এই চোয়ালের হাড় আবিষ্কার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তাইওয়ানের ন্যাশনাল মিউজিয়াম অফ ন্যাচারাল সায়েন্সেসে সংরক্ষিত এই জীবাশ্মটি নিয়ে পুনরায় গবেষণা করা হচ্ছে, যা থেকে এই রহস্যময় প্রজাতি সম্পর্কে আরও অনেক অজানা তথ্য পাওয়া যেতে পারে।
এই আবিষ্কার আমাদের অঞ্চলের মানুষের বিবর্তন সম্পর্কে ধারণা আরও গভীর করবে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, এই ধরনের আবিষ্কারগুলি আমাদের মানবজাতির ইতিহাস আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে।
মানুষের বিবর্তন এবং তাদের জীবনযাত্রা সম্পর্কে নতুন তথ্য জানার জন্য প্রতিনিয়ত গবেষণা চলছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন