লিজ্জোর স্বাস্থ্য সচেতনতা: ওজন কমানোর বদলে সুস্থ জীবনের পথে।
বিখ্যাত সঙ্গীত শিল্পী লিজ্জো, যিনি তাঁর ব্যতিক্রমী গানের জন্য পরিচিত, সম্প্রতি তাঁর জীবনযাত্রায় এনেছেন এক গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন। তিনি তথাকথিত ‘ওজন কমানোর’ পরিবর্তে বেছে নিয়েছেন ‘স্বাস্থ্য মুক্তি’র পথ।
এই পরিবর্তনের মূল কারণ হলো শারীরিক স্বাস্থ্যের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করা। ২০২৩ সাল থেকে, লিজ্জো সামাজিক মাধ্যম এবং সাক্ষাৎকারে তাঁর এই নতুন যাত্রার কথা জানিয়েছেন, যা তাঁর অনুসারীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।
নিজের শারীরিক পরিবর্তনে লিজ্জোর মূল লক্ষ্য ছিল মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করা। তিনি সবসময় বডি পজিটিভিটির কথা বলেছেন, কিন্তু তাঁর মতে, শরীরের প্রতি ইতিবাচক ধারণা প্রতিদিন একই রকম থাকে না।
মাঝে মাঝে নিজের শরীরকে ভালো লাগে, আবার কখনো হয়তো ভালো লাগে না। লিজ্জো মনে করেন, ব্যায়ামের মাধ্যমে শরীরের পরিবর্তনের চেয়ে মনের পরিবর্তন ঘটানো বেশি জরুরি। তাঁর মতে, শরীরের পরিবর্তন স্বাভাবিক, এবং এই পরিবর্তন জীবনের একটি অংশ।
লিজ্জোর এই স্বাস্থ্য মুক্তি যাত্রা শুরু হয় ২০২৩ সালে, যা প্রায় দেড় বছর ধরে চলে। তিনি জানান, ওজন কমানোর বিষয়ে তাঁর পদ্ধতি ছিল খুবই সুপরিকল্পিত।
এই সময়ে তিনি ধীরে ধীরে তাঁর লক্ষ্যে পৌঁছেছেন। অনেকেই হয়তো তাঁর এই পরিবর্তনকে হঠাৎ করে পাওয়া সাফল্য হিসেবে দেখছেন, কিন্তু লিজ্জো তাঁর স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রার প্রতিটি পদক্ষেপ নিয়মিতভাবে সামাজিক মাধ্যমে তুলে ধরেছেন।
তিনি নিয়মিত ব্যায়াম করেন, স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করেন এবং মানসিক শান্তির জন্য চেষ্টা চালিয়ে যান।
ওজন কমানোর জন্য লিজ্জো কোনো বিতর্কিত ওষুধ ব্যবহার করেননি। যখন তাঁর ওজন কমানোর খবর ছড়িয়ে পরে, তখন অনেকে জানতে চান তিনি ‘ওজেম্পিক’ নিচ্ছেন কিনা।
এই বিষয়ে তিনি সরাসরি কোনো মন্তব্য না করে, মজা করে বিষয়টি এড়িয়ে যান।
লিজ্জো তাঁর এই যাত্রায় ‘ওজন কমানো’ শব্দটির পরিবর্তে ‘স্বাস্থ্য মুক্তি’ শব্দটি ব্যবহার করতে পছন্দ করেন। তাঁর মতে, এই শব্দটির মাধ্যমে শরীরের পরিবর্তনের চেয়ে স্বাস্থ্য এবং সুস্থ জীবনের দিকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়।
তিনি চান তাঁর এই পরিবর্তনের মাধ্যমে তাঁর অনুসারীরা, বিশেষ করে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে, নিজেদের শরীর এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়ুক।
২০২৫ সালের জানুয়ারিতে লিজ্জো তাঁর প্রাথমিক স্বাস্থ্য মুক্তির লক্ষ্যে পৌঁছান। তিনি জানান, ২০১৪ সালের পর এই প্রথম তিনি তাঁর কাঙ্ক্ষিত ওজনের সংখ্যাটি দেখতে পান।
এই সাফল্যের মাধ্যমে তিনি প্রমাণ করেছেন যে, ইচ্ছাশক্তি থাকলে যেকোনো কিছুই অর্জন করা সম্ভব। লিজ্জোর এই যাত্রা আমাদের সকলের জন্য একটি উদাহরণ, যা শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যের গুরুত্বের ওপর আলোকপাত করে।
তথ্য সূত্র: পিপল