নিউ ইয়র্ক শহরে একটি পর্যটন হেলিকপ্টার বিধ্বস্ত হওয়ার ঘটনায় নতুন কিছু তথ্য প্রকাশ করেছে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় পরিবহন নিরাপত্তা বোর্ড (এনটিএসবি)। গত ১০ই এপ্রিল হাডসন নদীর তীরে এই দুর্ঘটনায় পাইলটসহ ছয়জনের মৃত্যু হয়।
সবচেয়ে উদ্বেগের বিষয় হলো, বিধ্বস্ত হওয়া হেলিকপ্টারটিতে কোনো ফ্লাইট রেকর্ডার বা ব্ল্যাক বক্স ছিল না।
এনটিএসবি’র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানের জন্য তারা হেলিকপ্টারটির পরিচালনা সংক্রান্ত কাগজপত্র, নীতি, পদ্ধতি, নিরাপত্তা ব্যবস্থা এবং পাইলটের অভিজ্ঞতা খতিয়ে দেখছেন। একইসঙ্গে, দুর্ঘটনার শিকার হওয়া হেলিকপ্টারটির যন্ত্রাংশগুলো পরীক্ষার জন্য সংগ্রহ করা হচ্ছে।
এই হেলিকপ্টারটি ছিল একটি বেল ২০৬ এল-৪ মডেলের।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, দুর্ঘটনার দিন সকালে হেলিকপ্টারটি মোট সাতটি ফ্লাইট সম্পন্ন করেছিল। এরপর অষ্টম ফ্লাইটটি পরিচালনা করার সময় এটি বিধ্বস্ত হয়।
দুর্ঘটনার সময় স্থানীয় সময় ছিল বিকেল ৩টা ১৫ মিনিট।
দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ছিলেন পাইলট শন জনসন এবং স্পেনের একটি রেল অবকাঠামো বিভাগের প্রধান নির্বাহী, আগাস্টিন এসকোবার ও তার স্ত্রী মার্সি কামপ্রুবি মন্টাল এবং তাদের তিনটি সন্তান।
এনটিএসবি আরও জানিয়েছে, উদ্ধারকর্মীরা হেলিকপ্টারের ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের কাজ অব্যাহত রেখেছেন।
ইতোমধ্যে ককপিট ও কেবিনসহ মূল কাঠামো, লেজের কিছু অংশ এবং অনুভূমিক স্টেবিলাইজার উদ্ধার করা হয়েছে। এই অংশগুলো বিশ্লেষণের জন্য ওয়াশিংটন ডিসির পরীক্ষাগারে পাঠানো হবে।
নিউ ইয়র্ক পুলিশ ডিপার্টমেন্টের ডুবুরি দল রবিবারও (১৩ই এপ্রিল) হেলিকপ্টারের বিভিন্ন অংশ উদ্ধারের চেষ্টা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল হেলিকপ্টারের মূল রোটার, গিয়ার বক্স, লেজের অংশ খুঁজে বের করা।
ধ্বংসস্তূপের সম্ভাব্য অবস্থান শনাক্ত করতে তারা সাইড-স্ক্যানিং সোনার ব্যবহার করছে।
এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ)-এর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে এনটিএসবি।
তথ্য সূত্র: পিপলস