ইকুয়েডরের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ডানপন্থী ড্যানিয়েল নোবোয়া জয়লাভ করেছেন। প্রতিদ্বন্দ্বী বামপন্থী প্রার্থী লুইসা গনজালেজ ভোটের ফলাফলে কারচুপির অভিযোগ তুলে পুনরায় ভোট গণনার দাবি জানিয়েছেন।
রবিবার দেশটির নির্বাচন কমিশন এই ফলাফল ঘোষণা করে।
নির্বাচনে নোবোয়া প্রায় ১২ শতাংশ ভোটে এগিয়ে ছিলেন। তিনি ৫৬ শতাংশের বেশি ভোট পেয়েছেন।
অন্যদিকে, গনজালেজ প্রায় ৪৪ শতাংশ ভোট পেয়েছেন। গত বছরের আকস্মিক নির্বাচনে নির্বাচিত হওয়া নোবোয়া এখন পূর্ণ চার বছরের জন্য রাষ্ট্রপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে নোবোয়া দেশের অর্থনীতিকে শক্তিশালী করা এবং মাদক চক্রের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
দেশটির সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে মাদক পাচার এবং এর সঙ্গে জড়িত অপরাধ উল্লেখযোগ্য হারে বেড়ে যাওয়ায় নিরাপত্তা পরিস্থিতি বেশ উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে নোবোয়ার ‘মানো দুরা’ বা কঠোর নীতি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। এই নীতির অংশ হিসেবে তিনি সেনাবাহিনীকে রাস্তায় নামিয়েছেন এবং মাদক চক্রের মূল হোতাদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছেন।
একইসঙ্গে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তাও চেয়েছেন।
গণজালেজের অভিযোগ, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এবং এটি ইকুয়েডরের ইতিহাসে সবচেয়ে জঘন্য নির্বাচন জালিয়াতি।
নির্বাচনে পরাজয়ের পর তিনি সমর্থকদের উদ্দেশ্যে বলেন, “এই ফল ইকুয়েডরের ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ এবং কদর্য নির্বাচন জালিয়াতির ফল।”
এর আগে ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত প্রথম দফা নির্বাচনে নোবোয়া সামান্য ব্যবধানে এগিয়ে ছিলেন। সে সময় আদিবাসী নেতা লিওনিদাস ইজার সমর্থন লাভ করা সত্ত্বেও গনজালেজ সামান্য ভোটের ব্যবধানে পিছিয়ে ছিলেন।
ইকুয়েডরের অর্থনীতি বর্তমানে বেশ কঠিন সময় পার করছে। মাদক সংশ্লিষ্ট সহিংসতার কারণে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কিত।
দেশটির দরিদ্র মানুষের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। বর্তমানে দেশটির ২৮ শতাংশ মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করছে।
ড্যানিয়েল নোবোয়া একজন ধনী পরিবারের সন্তান। তাঁর পরিবার মূলত কলা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত।
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকে তিনি নিরাপত্তা নীতিকে জোরদার করেছেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা