যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে সংঘাতের ১,১৫০তম দিনেও থামেনি লড়াই। শনিবার, ১৯শে এপ্রিল উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত ছিল।
পূর্বাঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক অভিযান জোরদার হয়েছে, যেখানে তারা কৌশলগত গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলো নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করছে।
সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, রাশিয়া সম্প্রতি তাদের আক্রমণের ধার আরও বাড়িয়েছে। বিশেষ করে দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চলে, যেখানে কয়েক মাস ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে তীব্র যুদ্ধ চলছে।
রাশিয়া সেখানকার কিছু জনপদ দখলের পরে তাদের সেনাদের গতি আরও বাড়িয়েছে। ইউক্রেনীয় সেনারাও পাল্টা প্রতিরোধ গড়ে তোলার চেষ্টা করছে, তবে তাদের অস্ত্রশস্ত্রের সরবরাহ কমে যাওয়ায় তারা বেশ চাপে আছে।
এদিকে, পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে সামরিক ও অর্থনৈতিক সহায়তা অব্যাহত রেখেছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) থেকে আসা সামরিক সরঞ্জাম ইউক্রেনীয় সেনাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
তবে, অনেক বিশেষজ্ঞ মনে করেন, রাশিয়ার সামরিক শক্তির সঙ্গে টেক্কা দিতে ইউক্রেনের জন্য এই সহায়তা যথেষ্ট নয়।
যুদ্ধ পরিস্থিতিতে মানবিক সংকটও বাড়ছে। উদ্বাস্তু মানুষের সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, যা জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী কয়েক মিলিয়নে পৌঁছেছে।
উদ্বাস্তু এবং ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য খাদ্য, বস্ত্র ও চিকিৎসা সামগ্রীর সরবরাহ নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো কাজ করছে।
এই যুদ্ধের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে গুরুতর প্রভাব পড়েছে। খাদ্যশস্য ও জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
আন্তর্জাতিক বাজারে এর সরাসরি প্রভাব পড়ছে এবং উন্নয়নশীল দেশগুলোতে অর্থনৈতিক চাপ বাড়ছে।
কূটনৈতিক পর্যায়ে শান্তি আলোচনার চেষ্টা চললেও এখন পর্যন্ত কোনো ফল পাওয়া যায়নি। রাশিয়া ও ইউক্রেন উভয় পক্ষই তাদের অবস্থানে অনড় রয়েছে।
তবে, আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় চায় দ্রুত এই যুদ্ধ বন্ধ হোক এবং আলোচনার মাধ্যমে একটি শান্তিপূর্ণ সমাধানে পৌঁছানো হোক।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা