বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে পবিত্র সপ্তাহ, খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের গভীর শ্রদ্ধার উদযাপন।
পবিত্র সপ্তাহ, খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ সময়। ইস্টার সানডের আগের সপ্তাহজুড়ে যিশু খ্রিস্টের প্রতি উৎসর্গীকৃত এই সময়ে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে পালিত হয় বিশেষ কিছু অনুষ্ঠান।
খবর পাওয়া যাচ্ছে, জেরুজালেম, ব্রাজিল, নাইজেরিয়া, ভারত, মেক্সিকো, ফিলিপাইনসহ বিভিন্ন দেশে এই পবিত্র সপ্তাহ পালনে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের আয়োজন করা হয়েছে।
এই সময়টাতে, যিশুর প্রতি উৎসর্গীকৃত বিশেষ প্রার্থনা, শোভাযাত্রা এবং বিভিন্ন ঘটনার পুনর্অভিনয় করা হয়।
যিশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে ‘ওয়ে অব দ্য ক্রস’ বা ক্রুশ পথের যাত্রা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অনেক স্থানে, যিশুর ক্রুশ বহন ও তাঁর দুঃখ-কষ্টের দৃশ্যগুলো জীবন্ত করে তোলার চেষ্টা করা হয়।
ব্রাজিলের রিও ডি জেনেইরোর একটি বস্তিতে, স্থানীয়রা যিশুর চরিত্রে অভিনয় করে এই ধরনের পুনর্অভিনয়ে অংশ নেন। ভারতের গুয়াহাটিতেও একই ধরনের দৃশ্য দেখা গেছে, যেখানে ধর্মপ্রাণ খ্রিস্টানরা যিশুর ক্রুশবিদ্ধ হওয়ার ঘটনার পুনর্নির্মাণ করেন।
পবিত্র সপ্তাহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো ‘পাম সানডে’। এই দিনে, যিশুর জেরুজালেমে প্রবেশকে স্মরণ করা হয়।
বিভিন্ন গির্জায় এই উপলক্ষে বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করা হয়। মেক্সিকো সিটিতে যিশুর চরিত্রে অভিনয় করে এই দিনের উদযাপন করা হয়, যা ভক্তদের মধ্যে গভীর আবেগ সৃষ্টি করে।
ফিলিপাইনে, এই সময়ে ‘মাউন্ডি থার্সডে’ পালন করা হয়, যেখানে যিশুর কষ্টের দিনগুলো স্মরণ করা হয়।
জেরুজালেমের পবিত্র ভূমি, যেখানে যিশুকে ক্রুশবিদ্ধ করা হয়েছিল এবং তাঁর সমাধিস্থল অবস্থিত, সেখানেও এই সময়ে বিশেষ প্রার্থনা ও উপাসনার আয়োজন করা হয়।
সেখানকার খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীরা এই সময়ে একত্রিত হয়ে তাঁদের ধর্মীয় আচার পালন করেন। এই পবিত্র সপ্তাহে, বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খ্রিস্টানরা তাঁদের ধর্মীয় রীতি-নীতি ও ঐতিহ্য অনুযায়ী এই সময়টিকে পালন করেন, যা তাঁদের গভীর বিশ্বাস ও ভক্তির বহিঃপ্রকাশ।
পবিত্র সপ্তাহের উদযাপন শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষের মধ্যে একতা ও ভালোবাসার বন্ধনও তৈরি করে।
আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থাগুলোর মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, এই বছরও বিভিন্ন দেশে শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর পরিবেশে পবিত্র সপ্তাহ পালিত হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস