পোপ ফ্রান্সিসের প্রয়াণ: ভ্যাটিকান সিটিতে ভ্রমণের উপর প্রভাব
গত ২১শে এপ্রিল, ৮৮ বছর বয়সে প্রয়াত হয়েছেন পোপ ফ্রান্সিস। ২০১৩ সাল থেকে তিনি এই পদে আসীন ছিলেন। তাঁর প্রয়াণের খবরটি শুধু ক্যাথলিক খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের জন্য নয়, বরং বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধর্ম ও মতাদর্শের মানুষের কাছে এক গভীর শোকের বিষয়।
পোপের মৃত্যু এবং পরবর্তী প্রক্রিয়াগুলি, বিশেষ করে নতুন পোপ নির্বাচন, ভ্যাটিকান সিটি এবং ইতালিতে ভ্রমণের উপর কিছু প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
পোপ ফ্রান্সিসের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সাধারণ রীতি মেনেই সম্পন্ন হবে, তবে তাঁর ইচ্ছানুসারে এটি পূর্বসূরিদের থেকে কিছুটা সাদাসিধে হবে।
জানা গেছে, তিনি সাধারণ কাঠের কফিনে শায়িত হতে এবং জনসাধারণের জন্য তাঁর কফিন উন্মুক্ত রাখার কথা বলেছিলেন।
এরপর তাঁকে ভ্যাটিকানের বাইরে, সেন্ট মেরি মেজর ব্যাসিলিকাতে সমাহিত করা হবে। এটি এক শতাব্দীরও বেশি সময়ের মধ্যে প্রথম ঘটনা, যখন কোনো পোপকে ভ্যাটিকানের বাইরে সমাধিস্থ করা হচ্ছে।
পোপের মৃত্যুর পর এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো নতুন পোপ নির্বাচন।
এই নির্বাচনের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ১২০ জন কার্ডিনাল সিস্টিন চ্যাপেলে মিলিত হবেন।
সাধারণত পোপের মৃত্যুর ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে এই প্রক্রিয়া শুরু হয়। এই সময়ে সিস্টিন চ্যাপেল জনসাধারণের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হবে। কার্ডিনালরা গোপনীয়তার শপথ নেবেন এবং বহির্বিশ্বের সঙ্গে তাঁদের কোনো যোগাযোগ থাকবে না।
নতুন পোপ নির্বাচনের প্রক্রিয়াটি বেশ কয়েক দিন চলতে পারে।
নির্বাচনের ফল জানার জন্য সাদা ধোঁয়ার অপেক্ষা করতে হয়, যা নতুন পোপ নির্বাচিত হওয়ার সংকেত দেয়।
এর আগে, ভোট গ্রহণের ফল অসম্পূর্ণ থাকলে কালো ধোঁয়া নির্গত হয়।
১৯২২ সালে এই প্রক্রিয়াটি সর্বোচ্চ পাঁচ দিন পর্যন্ত চলেছিল।
ভ্যাটিকান সিটি এবং রোমে ভ্রমণকারীদের জন্য কিছু পরিবর্তনের সম্ভাবনা রয়েছে।
যদিও শহরের হোটেল, রেস্টুরেন্ট এবং অন্যান্য স্থানগুলি খোলা থাকবে, তবে পর্যটকদের কিছু বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
এই সময়ে, বিশেষ করে সিস্টিন চ্যাপেলের আশেপাশে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হবে এবং দীর্ঘ সময় ধরে অপেক্ষা করতে হতে পারে।
তাছাড়া, অনেক স্থানে প্রবেশের ক্ষেত্রেও বিধিনিষেধ থাকতে পারে।
তাই, যারা ভ্যাটিকান ভ্রমণের পরিকল্পনা করছেন, তাঁদের ভ্রমণসূচি পরিবর্তনের সম্ভাবনাও থাকতে পারে।
ভ্রমণকারীদের প্রতি পরামর্শ হলো, ভ্রমণের আগে অবশ্যই তাঁদের ট্যুর অপারেটরের সঙ্গে যোগাযোগ করে নিশ্চিত হয়ে নেওয়া উচিত যে তাঁদের নির্ধারিত ভ্রমণসূচি বহাল আছে কিনা।
অথবা, প্রয়োজন অনুযায়ী ভ্রমণের তারিখ পরিবর্তনেরও ব্যবস্থা করতে হতে পারে।
তথ্য সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেজার