যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনে আবারও রাশিয়ার ড্রোন হামলা, নিহত অন্তত নয়জন।
বুধবার (তারিখ উল্লেখ করতে হবে) ভোরে, রাশিয়ার সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের বিভিন্ন শহরে ব্যাপক ড্রোন হামলা চালায়। পূর্বাঞ্চল, দক্ষিণাঞ্চল এবং মধ্যাঞ্চলে বেসামরিক অবকাঠামোকে লক্ষ্য করে চালানো এই হামলায় মারহানেটস শহরে একটি বাসে আঘাত হানে, যেখানে নয়জন নিহত হয়। এছাড়াও, বহু মানুষ গুরুতর আহত হয়েছে।
স্থানীয় কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, রাতের বেলা হওয়া এই হামলায় কিয়েভ এবং ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে মানুষজন আতঙ্কিত অবস্থায় ছিল। মারহানেতসে শ্রমিকদের বহনকারী একটি বাসে ড্রোন আঘাত হানলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের প্রধান মিকোলা লুকাশুক টেলিগ্রামে জানান, “রাশিয়ান বাহিনী একটি এন্টারপ্রাইজের কর্মীদের বহনকারী বাসে হামলা চালিয়েছে, যারা কাজে যাচ্ছিলেন।”
দিনিপ্রোপেট্রোভস্ক অঞ্চলের গভর্নর সের্হি লিসাক জানিয়েছেন, মারহানেতসে হামলায় অন্তত ৩০ জন আহত হয়েছেন।
একইসাথে, পোলতাভা শহরেও “ব্যাপক” ড্রোন হামলা চালানো হয়, যেখানে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছে। জরুরি পরিষেবা সূত্রে জানা গেছে, “শহরটির বেসামরিক অবকাঠামো” হামলার শিকার হয়েছে।
এছাড়াও, ওডেসার উপকণ্ঠেও ড্রোন হামলায় বেশ কয়েকটি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে অন্তত দুজন আহত হয়েছে। খারকিভেও রাশিয়ার ড্রোন হামলায় বড় ধরনের অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়া গেছে।
এই হামলার প্রেক্ষাপটে, ইউক্রেন এবং রাশিয়ার মধ্যে আলোচনার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। উভয় দেশই বেসামরিক অবকাঠামোতে হামলা বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তিতে আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
এর আগে, গত সপ্তাহে প্যারিসে ইউরোপীয় এবং মার্কিন কর্মকর্তাদের সঙ্গে ইউক্রেনীয় প্রতিনিধি দলের বৈঠক হয়, যেখানে শান্তি আলোচনা আরও জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
অন্যদিকে, রাশিয়া জানিয়েছে যে তাদের বিমান প্রতিরক্ষা ইউনিট কয়েকটি রুশ অঞ্চল এবং ক্রিমিয়া উপদ্বীপের ওপর দিয়ে উড়ে যাওয়া ইউক্রেনীয় ড্রোন ভূপাতিত করেছে। তবে, রাশিয়ার পক্ষ থেকে এসব হামলার বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
তথ্য সূত্র: The Guardian