ক্যালিফোর্নিয়ার প্রাক্তন বিচারক জেফরি ফার্গুসনকে তার স্ত্রীকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের অরেঞ্জ কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টের প্রাক্তন এই বিচারক গত বছর মদ্যপ অবস্থায় স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়ার পর গুলি করে হত্যা করেন।
মঙ্গলবার, ২২শে এপ্রিল আদালতের শুনানিতে দ্বিতীয়-ডিগ্রি মার্ডারের অভিযোগে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
আদালতের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সাল থেকে বিচারক হিসেবে দায়িত্ব পালন করা ফার্গুসনকে হত্যার দায়ে অভিযুক্ত করা হয়েছে। ২০২৩ সালের ৩রা আগস্ট, ক্যালিফোর্নিয়ার আনাহাইম হিলসে নিজের বাড়িতে ৬৪ বছর বয়সী স্ত্রী শেরি ফার্গুসনকে গুলি করে মারেন তিনি।
বিচার চলাকালীন ফার্গুসন দাবি করেছিলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে তার স্ত্রীকে গুলি করেননি। ঘটনার সময় তাদের মধ্যে অর্থ নিয়ে ঝগড়া চলছিল।
তিনি আরও জানান, পরিস্থিতি শান্ত করার জন্য তিনি কোমর থেকে পিস্তল বের করেন, কিন্তু সেটি দুর্ঘটনাক্রমে চলে যায়।
তবে, সরকারি কৌঁসুলিরা এই দাবির বিরোধিতা করে জানান, গুলির ঘটনার পর ফার্গুসন তার স্ত্রীর কোনো সাহায্য করেননি। বরং তিনি বাইরে গিয়ে তার কোর্ট বেইলফ এবং ক্লার্ককে টেক্সট করেন।
টেক্সট বার্তায় তিনি লিখেছিলেন, ‘আমি সব হারিয়ে ফেলেছি। আমি আমার স্ত্রীকে গুলি করেছি। আমি আগামীকাল আসব না। আমি হেফাজতে থাকব। আমি দুঃখিত।’ এরপর তিনি তার ছেলেকে সেখানে রেখেই ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
এই মামলার শুনানিতে সরকারি কৌঁসুলি টড স্পিৎজার বলেন, “ফার্গুসন তার স্ত্রীকে গুলি করে মারার সঙ্গে সঙ্গেই বুঝেছিলেন তিনি একজন খুনির মতো কাজ করেছেন। তিনি তার ছেলেকে তার মায়ের জীবন বাঁচানোর জন্য চেষ্টা করতে একা ফেলে রেখে যান, আর নিজে বাইরে গিয়ে বন্ধুদের টেক্সট করেন। এটি কোনো দুর্ঘটনা ছিল না।
আদালতে শুনানির সময়, বিচারক ফার্গুসন তার ছেলের সঙ্গে আবেগপূর্ণ মুহূর্ত কাটান। দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পর তিনি তার ছেলেকে জড়িয়ে ধরেন এবং ফিসফিস করে বলেন, “ঠিক আছে, শক্ত থেকো।
ফার্গুসনকে এখন ৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড ভোগ করতে হতে পারে। তথ্যসূত্র: পিপলস