যুক্তরাজ্যের একটি মানবাধিকার সংস্থা, ইক্যুয়ালিটি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস কমিশন (ইএইচআরসি), সম্প্রতি এক নির্দেশিকা জারি করেছে। এই নির্দেশিকাটি তৈরি করা হয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্টের একটি গুরুত্বপূর্ণ রায়ের পর।
আদালতের রায়ে ‘নারী’ এবং ‘লিঙ্গ’ বিষয়ক সংজ্ঞাগুলো মূলত জীববিজ্ঞান ভিত্তিক ধরা হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে, কর্মক্ষেত্র এবং জনসাধারণের ব্যবহারের স্থানগুলোতে, বিশেষ করে শৌচাগার ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তনের ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে।
নির্দেশিকা অনুযায়ী, যেসব ট্রান্স নারী জন্মগতভাবে পুরুষ, তাদের নারীদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার ব্যবহার করার অনুমতি দেওয়া হবে না। একইভাবে, ট্রান্স পুরুষ, অর্থাৎ জন্মগতভাবে নারী, তাদের পুরুষদের জন্য নির্ধারিত শৌচাগার ব্যবহারের অনুমতি নাও থাকতে পারে।
তবে, ইএইচআরসি বিশেষভাবে উল্লেখ করেছে, এই নিয়ম তৈরির ফলে কোনো ট্রান্সজেন্ডার ব্যক্তিকে যেন কোনো প্রকার শৌচাগার ব্যবহার থেকে বঞ্চিত করা না হয়। তাদের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা রাখতে হবে।
বিদ্যালয়গুলোতে, আট বছরের বেশি বয়সী ছেলে ও মেয়েদের জন্য আলাদা শৌচাগার এবং পোশাক পরিবর্তন করার স্থান তৈরি করার কথা বলা হয়েছে। একইসঙ্গে, ট্রান্সgender শিক্ষার্থীদের জন্য উপযুক্ত বিকল্প ব্যবস্থা রাখারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
উদাহরণস্বরূপ, ট্রান্স নারী শিক্ষার্থীদের মেয়েদের টয়লেট বা পোশাক পরিবর্তনের স্থানে এবং ট্রান্স পুরুষ শিক্ষার্থীদের ছেলেদের টয়লেট বা পোশাক পরিবর্তনের স্থানে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। তাদের জন্য ভিন্ন ব্যবস্থা করতে হবে।
নির্দেশিকায় আরও বলা হয়েছে, ২৫ বা তার বেশি সদস্যের খেলাধুলার ক্লাব অথবা অন্যান্য সংস্থাগুলো তাদের সদস্যপদ শুধুমাত্র জৈবিক পুরুষ বা নারীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পারবে। যেমন, কোনো লেসbian মহিলাদের খেলাধুলার ক্লাব চাইলে ট্রান্স নারীদের সদস্য হিসেবে গ্রহণ নাও করতে পারে।
ইএইচআরসি জানিয়েছে, তারা সুপ্রিম কোর্টের এই রায়ের আলোকে একটি বিস্তারিত নীতিমালা তৈরির কাজ করছে। আশা করা হচ্ছে, আগামী জুন মাসের মধ্যে এটি সরকারের অনুমোদনের জন্য পেশ করা হবে।
তথ্য সূত্র: The Guardian