বিল গেটসের কন্যা ফোবি গেটস: ফ্যাশন জগতে নতুন যাত্রা, আর প্রেমিকের চোখে আকাঙ্খিত এক চিত্রকর্ম।
বিশ্বখ্যাত মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসের কন্যা ফোবি গেটস বর্তমানে ফ্যাশন জগতে নিজের স্থান তৈরি করছেন। সম্প্রতি তিনি ‘ফিয়া’ নামে একটি অনলাইন শপিং প্ল্যাটফর্ম চালু করেছেন, যা ফ্যাশন সচেতন তরুণ প্রজন্মের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেছে। তবে, ফ্যাশন এবং ব্যবসার বাইরেও, ফোবি প্রায়ই আলোচনায় আসেন তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে।
বিশেষ করে তাঁর প্রেমিক, পল ম্যককার্টনির নাতি আর্থার ডোনাল্ডের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই।
ফোবি গেটসের রুচি এবং জীবনযাত্রার ধরন বেশ আকর্ষণীয়। তাঁর নিউ ইয়র্কের অ্যাপার্টমেন্টের দেয়ালগুলো হালকা গোলাপী রঙে রাঙানো। জানা যায়, তাঁর বেডরুমের দেয়ালে টাঙানো একটি গোলাপী ক্যাসেট টেপের ছবি নিয়ে তাঁর প্রেমিকের রয়েছে আপত্তি।
ফোবি জানিয়েছেন, তিনি একটি বাজার থেকে প্রায় ২০ ডলারে (বাংলাদেশি মুদ্রায় যা প্রায় ২,০০০ টাকার সমান) ছবিটি কিনেছিলেন। কিন্তু আর্থার ডোনাল্ড ছবিটিকে একেবারেই পছন্দ করেন না। যখনই তিনি ফোবিকে দেখতে আসেন, সঙ্গে সঙ্গে সেটি নামিয়ে ফেলেন।
আর্থার ডোনাল্ড, যিনি বিটলস তারকা পল ম্যককার্টনির নাতি, ক্যালিফোর্নিয়ায় থাকেন। তবে, ফোবির সঙ্গে দেখা করার জন্য তিনি প্রায়ই নিউ ইয়র্কে আসেন।
জানা যায়, এই জুটির প্রথম পরিচয় হয় যখন ফোবি, আর্থারের মাসি, ফ্যাশন ডিজাইনার স্টেলা ম্যককার্টনির সঙ্গে একটি কাজের সূত্রে যুক্ত হয়েছিলেন।
ফোবি গেটস এবং আর্থার ডোনাল্ডের সম্পর্কের বিষয়টি প্রথম প্রকাশ্যে আসে যখন ফোবি তাঁর স্নাতক শেষে একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশ করেন। ছবিতে আর্থারের সঙ্গে তাঁর হাসিখুশি মুহূর্তগুলো দেখা যায়।
ছবিতে তিনি আর্থারকে তাঁর প্রেমিক হিসেবে উল্লেখ করেন এবং লেখেন, “ছেলেটিকে বেশ সুন্দর দেখাচ্ছে।”
অন্যদিকে, ফোবি প্রায়ই তাঁর প্রভাবশালী পরিবারের কারণে পাওয়া সুযোগ-সুবিধা (নেপো বেবি) নিয়ে মুখ খোলেন। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, “বড় হওয়ার সময় আমি দেখেছি, মানুষ সবসময় আমাকে নিয়ে কিছু না কিছু বলবেই।”
স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় তিনি কেমন অনুভব করতেন, সেকথাও জানান। তিনি বলেন, “আমার মধ্যে অনেক দ্বিধা ছিল, নিজেকে প্রমাণ করার একটা প্রবল ইচ্ছা ছিল। আমার অনেক সুযোগ-সুবিধা ছিল, আমি একজন নেপো বেবি।”
ফোবি আরও যোগ করেন, “আমার মনে হয়, ব্যবসার সফলতার পেছনে আমার পরিবারের একটা বড় ভূমিকা আছে। আমার বাবা-মায়ের জন্য আমি স্ট্যানফোর্ডে পড়তে পেরেছি, এত সুন্দরভাবে বেড়ে উঠতে পেরেছি এবং কিছু করার অনুপ্রেরণা পেয়েছি। তবে, এর সঙ্গে আমার ভেতরের চাপও অনেক বেশি।”
বর্তমানে ফোবি গেটস তাঁর ফ্যাশন উদ্যোগ এবং ব্যক্তিগত জীবন—দুটোই সমানতালে সামলাচ্ছেন। তাঁর এই নতুন যাত্রা অনেকের কাছেই অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে।
তথ্য সূত্র: পিপল