যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের শুরুতে জনসমর্থন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। সম্প্রতি সিএনএন-এর জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে।
জরিপ অনুযায়ী, ক্ষমতা গ্রহণের প্রথম ১০০ দিনের মধ্যে ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা এখন পর্যন্ত পাওয়া যেকোনো প্রেসিডেন্টের তুলনায় সর্বনিম্ন।
জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের প্রতি সমর্থন মার্চের তুলনায় কমেছে। বর্তমানে তার অনুমোদনের হার ৪১ শতাংশ।
ডেমোক্রেটদের মধ্যে ৯৩ শতাংশ এবং রিপাবলিকানদের মধ্যে ৮৬ শতাংশ ট্রাম্পের প্রতি ভিন্নমত পোষণ করেন।
তবে স্বতন্ত্র ভোটারদের মধ্যে তার সমর্থন ৩১ শতাংশে নেমে এসেছে, যা তার প্রথম মেয়াদের মতোই দুর্বল।
অর্থনৈতিক নীতি, মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ, বাণিজ্য শুল্ক এবং পররাষ্ট্রনীতিসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে ট্রাম্পের কর্মকা-ের প্রতি জনগণের আস্থা হ্রাস পেয়েছে।
অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তার অনুমোদন কমে দাঁড়িয়েছে ৩৯ শতাংশে, যা তার ক্যারিয়ারের সর্বনিম্ন।
এছাড়া, বাণিজ্য শুল্কের বিষয়ে তার অনুমোদনের হার ৩৫ শতাংশে নেমে এসেছে।
বৈদেশিক নীতিতে ট্রাম্পের পদক্ষেপ নিয়েও অনেকে অসন্তুষ্ট।
ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়ে রাশিয়ার প্রতি নমনীয়তা এবং বৈদেশিক সাহায্য কমানোর সিদ্ধান্তের কারণে তার প্রতি সমর্থন কমেছে।
অভিবাসন নীতিতেও তার জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে।
তবে, লিঙ্গ পরিচয় এবং ট্রান্সজেন্ডার সম্পর্কিত বিষয়ে ট্রাম্পের পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন এখনো ইতিবাচক রয়েছে।
এই ইস্যুতে ৫১ শতাংশ মানুষ তার প্রতি সমর্থন জানাচ্ছে।
জরিপে অংশ নেওয়া একজন নারী জানান, ট্রাম্পের কিছু সিদ্ধান্ত তাকে হতাশ করেছে। তিনি বলেন, “আমি তাকে ভোট দিইনি।
আমি ভেবেছিলাম তিনি হয়তো দেশের অর্থনীতিকে সাহায্য করতে পারবেন, কিন্তু সেই আশা পূরণ হয়নি।”
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশগুলো নিয়েও জনমনে উদ্বেগ রয়েছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারী একজন আইনজীবী জানান, “ট্রাম্প প্রায়ই নির্বাহী আদেশ জারি করেন, যা পরে আদালতে বাতিল হয়ে যায়।”
এই জরিপটি পরিচালনা করেছে এসএসআরএস (SSRS)। গত ১৭ থেকে ২৪ এপ্রিল পর্যন্ত ১,৬৭৮ জন প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে অনলাইন এবং টেলিফোন ইন্টারভিউয়ের মাধ্যমে এই জরিপটি চালানো হয়।
তথ্য সূত্র: সিএনএন