টম ক্রুজ, যিনি তাঁর দুঃসাহসিক সব স্টান্ট এবং সিনেমাপ্রেমের জন্য বিশ্বজুড়ে পরিচিত, তাঁর ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করেছেন। এই সিরিজের আসন্ন সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং’ মুক্তির প্রাক্কালে, এই সিনেমার অভিনেতা-অভিনেত্রীরা টমের সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন।

তাদের সেই অভিজ্ঞতা নিয়েই আজকের এই প্রতিবেদন। ‘মিশন: ইম্পসিবল’ সিরিজের প্রতিটি সিনেমায় টম ক্রুজের অভিনয় এবং সিনেমা বানানোর প্রতি একাগ্রতা সবসময়ই বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

ছবিতে অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি প্রযোজক হিসেবেও কাজ করেন, যা সিনেমার গুণগত মান আরও বাড়িয়ে তোলে। তাঁর সহ-অভিনেতাদের মতে, টমের সঙ্গে কাজ করাটা একটা বিশেষ অভিজ্ঞতা।

অভিনেত্রী অ্যাঞ্জেলা বাসেট, যিনি এই সিরিজের একাধিক সিনেমায় অভিনয় করেছেন, টমের কাজের ধরন সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন, “প্রতিদিন সকালে মেকআপ রুমে এসে যখন হেলিকপ্টারের শব্দ শুনতাম, তখন বুঝতাম টম আসছেন। এটা আমার মুখে হাসি ফুটিয়ে দিত।”

টমের কাজের প্রতি এই নিবেদন এবং সময়ানুবর্তিতা, অন্যদের কাছেও অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। এই সিরিজে লুথার স্টিকেলের চরিত্রে অভিনয় করা ভিং র‍্যামেস, যিনি এই সিরিজের আটটি সিনেমাতেই কাজ করেছেন, টমের সঙ্গে তাঁর বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করেন।

তিনি বলেন, “আমরা খুব ভালো বন্ধু, আমাদের মধ্যে দারুণ একটা বোঝাপড়া রয়েছে।” সিমোন পেগ, যিনি বেনজি ডান চরিত্রে অভিনয় করেছেন, তাঁর মতে টম শুধু একজন ভালো অভিনেতা নন, বরং একজন অসাধারণ মানুষও।

তিনি জানান, টম সবসময় তাঁর সহ-অভিনেতাদের আপন করে নিতে ভালোবাসেন। এমনকি, একবার বরফের রাজ্যে শুটিংয়ের সময়, টম তাঁর জন্মদিনের জন্য একটি কেক তৈরি করিয়ে পাঠিয়েছিলেন, যা তাঁর আন্তরিকতার প্রমাণ।

এই সিনেমার আরেক অভিনেত্রী হেইলি অ্যাটওয়েল মনে করেন, টমের কাজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো মজা করা। “সিনেমার কাজটা যখন এত বড় পরিসরে হয়, তখন আনন্দের একটা উপাদান থাকা দরকার, যা সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস তৈরি করে”, তিনি বলেন।

অভিনেতা ও পরিচালক ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারির সঙ্গে টমের কাজের বোঝাপড়া এতটাই গভীর যে, অনেক সময় দৃশ্য পরিবর্তনের সিদ্ধান্তও তাঁরা তাৎক্ষণিকভাবে নিতেন। এই বিষয়ে অভিনেতা হেনরি জার্নি বলেন, “আমরা বলতাম, ‘এই দৃশ্যগুলো পাঁচ মিনিটের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ধ্বংস হয়ে যাবে’।”

অভিনেতাদের মতে, টমের মধ্যে সিনেমার প্রতি এক গভীর ভালোবাসা রয়েছে। তাঁর এই অদম্য উৎসাহ, অন্যদেরও ভালো কাজ করতে উৎসাহিত করে। অ্যাঞ্জেলা বাসেট আরও যোগ করেন, “টম সবসময় চান সবাই ভালো করুক, ভালো দেখাক এবং কঠোর পরিশ্রম করুক।

তাঁর মতো ডেডিকেশন সম্পন্ন মানুষ পাওয়াটা সত্যিই ভাগ্যের ব্যাপার।” টম ক্রুজের সিনেমা তৈরির এই অদম্য স্পৃহা এবং সহকর্মীদের প্রতি তাঁর ভালোবাসাই ‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সাফল্যের শিখরে পৌঁছে দিয়েছে।

তথ্য সূত্র: পিপল