1. rajubdnews@gmail.com : adminb :
  2. babu.repoter@gmail.com : Babu : Nurul Huda Babu
June 16, 2025 12:11 AM

এআই আইন: বড়ো চালে, রাজ্যের ক্ষমতা কেড়ে নিতে উদ্যত রিপাবলিকান, তীব্র প্রতিবাদ!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Monday, May 19, 2025,

যুক্তরাষ্ট্রের আইনপ্রণেতাদের একটি অংশ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (Artificial Intelligence বা AI) প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নতুন একটি প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে, যা এরই মধ্যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। প্রস্তাবটি যদি পাস হয়, তবে এর ফলে আগামী ১০ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রের রাজ্য সরকারগুলো তাদের রাজ্যে এআই-সংক্রান্ত কোনো নিয়ম তৈরি করতে পারবে না।

খবরটি দিয়েছে সিএনএন।

এই প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে ১০০টির বেশি সংগঠন সোচ্চার হয়েছে। তাদের আশঙ্কা, এই পদক্ষেপের কারণে এআই প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের ক্ষতির শিকার হতে পারে সাধারণ মানুষ।

কারণ, এআই প্রযুক্তি এখন ব্যক্তিগত যোগাযোগ থেকে শুরু করে স্বাস্থ্যসেবা, চাকরি এবং নিরাপত্তা—জীবনের নানা ক্ষেত্রে প্রবেশ করছে। এমন পরিস্থিতিতে যদি রাজ্য সরকারগুলোর নিয়ন্ত্রণ ক্ষমতা কমে যায়, তাহলে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবহারকারী এবং সমাজের জন্য তা উদ্বেগের কারণ হবে।

এই প্রস্তাবটি এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে উত্থাপিত একটি ট্যাক্স ও ব্যয়ের বিলের সঙ্গে। বিলটি এখনো সিনেটে যাওয়ার আগে প্রতিনিধি পরিষদে ভোটাভুটির মধ্য দিয়ে যেতে হবে।

বিলটি পাস হলে রাজ্যগুলোকে এআই মডেল, সিস্টেম বা স্বয়ংক্রিয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়া নিয়ন্ত্রণের অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হবে।

এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, যেমন—কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়, জর্জটাউন ল-এর সেন্টার অন প্রাইভেসি অ্যান্ড টেকনোলজি এবং বিভিন্ন অধিকার কর্মী সংগঠন একজোট হয়েছে।

তারা মনে করে, এই ধরনের পদক্ষেপ প্রযুক্তির অপব্যবহারের সুযোগ তৈরি করবে। এমনকি, কোনো কোম্পানি যদি ইচ্ছাকৃতভাবে এমন একটি এআই তৈরি করে, যা ক্ষতির কারণ হয়, তাহলেও তাদের জবাবদিহিতার আওতায় আনা কঠিন হয়ে পড়বে।

তবে, এই বিতর্কের মধ্যেই কিছু প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ এবং রাজনীতিবিদ এআই নিয়ন্ত্রণের প্রয়োজনীয়তার কথা বলছেন। ওপেনএআই (OpenAI)-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা স্যাম অল্টম্যান (Sam Altman) মনে করেন, এআই প্রযুক্তির ঝুঁকি কমাতে সরকারের নিয়ন্ত্রণ জরুরি।

যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভেন্স (J.D. Vance) এর আগে বলেছিলেন, এআই খাতের অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণ এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্পের বিকাশকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন রাজ্যে অবশ্য এরই মধ্যে এআই ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু নিয়মকানুন তৈরি হতে শুরু করেছে।

কলোরাডো রাজ্যে গত বছর একটি আইন পাস হয়েছে, যেখানে প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে কর্মী নিয়োগ এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষেত্রে অ্যালগরিদমের মাধ্যমে বৈষম্য রোধ করতে বলা হয়েছে।

নিউ জার্সিতে ডিপফেক (Deepfake) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে তৈরি করা মিথ্যা ভিডিও বা ছবি প্রচারের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিধান তৈরি করা হয়েছে।

বাংলাদেশেও প্রযুক্তি এবং বিশেষ করে আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার বাড়ছে।

শিক্ষা, স্বাস্থ্য, এবং অর্থনৈতিক খাতে এর সম্ভাবনা অনেক। তবে, এর অপব্যবহারের ঝুঁকিও রয়েছে।

তথ্য সুরক্ষা, সাইবার নিরাপত্তা এবং ডিজিটাল প্রতারণা রোধে বাংলাদেশের বিদ্যমান আইনগুলোকে শক্তিশালী করার পাশাপাশি, এআই প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটি সুনির্দিষ্ট নীতিমালা প্রণয়ন করা জরুরি।

এই ধরনের নীতিমালা তৈরি করা গেলে, প্রযুক্তি ব্যবহারের সুবিধাগুলো নিশ্চিত করা এবং একই সঙ্গে সম্ভাব্য ঝুঁকিগুলো মোকাবিলা করা সহজ হবে।

তথ্য সূত্র: CNN

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT