টম ক্রুজের ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’ : অ্যাকশন আর থ্রিলের মিশেলে ভরপুর এক সিনেমা।
দীর্ঘ প্রতীক্ষার পর অবশেষে মুক্তি পেয়েছে টম ক্রুজ অভিনীত বহুল প্রতীক্ষিত সিনেমা ‘মিশন: ইম্পসিবল – ডেড রেকনিং পার্ট ওয়ান’। বিশ্বজুড়ে সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। আর এবার বাংলাদেশের প্রেক্ষাগৃহেও সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে।
ক্রিস্টোফার ম্যাককোয়ারি পরিচালিত এই ছবিতে ইথান হান্ট চরিত্রে আবারও ফিরেছেন টম ক্রুজ। সিনেমার গল্প, অভিনয়শৈলী, আর আকর্ষণীয় দৃশ্যগুলো কেমন, সেই বিষয়ে থাকছে বিস্তারিত আলোচনা।
সিনেমাটি শুরু হয় একেবারে অন্যরকম এক প্রেক্ষাপটে। যেখানে দেখা যায়, ইথান হান্ট এক শক্তিশালী শত্রুর মুখোমুখি, যে কিনা একটি অত্যাধুনিক আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অধিকারী।
এই এআই এতটাই শক্তিশালী যে সে পুরো বিশ্বের নিয়ন্ত্রণ নিতে চায়। আর এই মিশনকে সফল করতে ইথান হান্টকে লড়তে হয় নানা প্রতিকূলতার সঙ্গে। গল্পের এই গভীরতা ছবিটিকে দিয়েছে অন্য মাত্রা।
টম ক্রুজের অ্যাকশন দৃশ্য বরাবরই দর্শকদের মন জয় করে। এই ছবিতেও তার ব্যতিক্রম হয়নি।
বিমানের ককপিট থেকে ঝাঁপ দেওয়া কিংবা চলন্ত ট্রেনের ওপর মারপিটের দৃশ্যগুলো রীতিমতো শ্বাসরুদ্ধকর। সিনেমার কিছু দৃশ্যে রয়েছে সমুদ্রের গভীরের অ্যাকশন, যা দর্শকদের মধ্যে শিহরণ জাগায়। এছাড়া, পুরনো দিনের দুটি বিমানের কসরত দর্শকদের জন্য বিশাল আকর্ষণ।
তবে সিনেমার গল্প বলার ধরনে কিছু দুর্বলতা রয়েছে। অনেক চরিত্র, তাদের জটিল সম্পর্ক এবং অতীতের কিছু ঘটনার ঘনঘটা দর্শকের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করতে পারে।
ছবির শুরুতে গল্পের গতি কিছুটা ধীর মনে হলেও, পরে তা অ্যাকশনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে থাকে।
সিনেমাটিতে অন্যান্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন ভিং রেহেমস, সাইমন পেগ, হেয়ালি অ্যাটওয়েল, এসাই মোরালেস, অ্যাঞ্জেলা বাসেট, পম ক্লেমেনটিয়েফ, হানাহ ওয়াডিংহাম-এর মতো তারকারা।
‘মিশন: ইম্পসিবল’ ফ্র্যাঞ্চাইজির আগের সিনেমাগুলোর মতো, এই ছবিতেও টানটান উত্তেজনা এবং অপ্রত্যাশিত মোড় রয়েছে।
সবমিলিয়ে, সিনেমাটি দর্শকদের জন্য দারুণ উপভোগ্য একটি অভিজ্ঞতা হতে পারে। তবে, যারা গল্পের গভীরতা এবং চরিত্রের সূক্ষ্মতা বেশি পছন্দ করেন, তাদের হয়তো সামান্য হতাশ লাগতে পারে।
সবকিছু বিবেচনা করে, সিনেমাটিকে ৪ এর মধ্যে ২.৫ স্টার দেওয়া যেতে পারে। এটি সম্ভবত বাংলাদেশের সিনেমাপ্রেমীদের জন্য একটি উপভোগ্য সিনেমা হতে পারে।
সিনেমাটি আন্তর্জাতিকভাবে PG-13 রেটিং পেয়েছে, অর্থাৎ কিছু দৃশ্য শিশুদের জন্য উপযুক্ত নাও হতে পারে।
সিনেমাটির রানটাইম বা সময়কাল হলো ১৭৯ মিনিট।
তথ্যসূত্র: এসোসিয়েটেড প্রেস