ট্রাম্প প্রশাসন সরকারি নথিপত্র উন্মোচনের লড়াইয়ে সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ চেয়েছে। দেশটির সরকারি দপ্তর ‘ডগ’ (DOGE)-এর নথি জনসমক্ষে আনা যাবে কিনা, সেই প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছে তারা।
এই ঘটনার জেরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে সরকারি স্বচ্ছতা বিষয়ক বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, ট্রাম্প প্রশাসন চাইছে, সরকারি দপ্তর ‘ডগ’ (Department of Government Efficiency – DOGE)-কে তথ্য জানার অধিকার আইনের (Freedom of Information Act – FOIA) আওতার বাইরে রাখা হোক।
এই আইনের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরকারি নথিপত্র দেখতে পারেন। কিন্তু ট্রাম্প প্রশাসনের যুক্তি, ‘ডগ’ আসলে হোয়াইট হাউসের একটি উপদেষ্টা সংস্থা, তাই এই আইনের আওতায় তারা নথি দিতে বাধ্য নয়।
অন্যদিকে, ‘সিটিজেনস ফর রেসপনসিবিলিটি অ্যান্ড এথিক্স ইন ওয়াশিংটন’ (CREW) নামক একটি সংগঠন চাইছে, ‘ডগ’-এর কাজকর্ম সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানতে।
তাদের দাবি, ‘ডগ’-কে তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় আনা উচিত। এর ফলে জনগণের কাছে তাদের সমস্ত নথি উন্মোচন করতে হবে।
বিষয়টি নিয়ে নিম্ন আদালতে বিচার চলছে। আদালত এক সময় রায় দেয় যে, সম্ভবত ‘ডগ’ তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় পড়ে।
এরপরেই ওয়াশিংটন ডিসি-র ফেডারেল আপিল আদালত এই রায়ের পুনর্বিবেচনা করতে রাজি হয়নি।
আদালতে ট্রাম্প প্রশাসনের আইনজীবী ড. জন সওয়ার জানান, ‘ডগ’ হলো প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা সংস্থা।
এর কাজ হলো ট্রাম্পকে বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া। তিনি আরও বলেন, ‘যদি ‘ডগ’-কে তথ্য জানার অধিকার আইনের আওতায় আনা হয়, তাহলে প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টাদের স্বাধীনতা খর্ব হবে, যা ক্ষমতার পৃথকীকরণ নীতির পরিপন্থী।’
প্রসঙ্গত, ‘ডগ’-এর প্রধান হিসেবে একসময় কাজ করেছেন ইলন মাস্ক।
তবে বর্তমানে তিনি এই দায়িত্ব থেকে কিছুটা সরে এসেছেন এবং নিজের কোম্পানির কাজে বেশি মনোযোগ দিচ্ছেন।
আদালতে এই মামলার শুনানি এখনো চলছে। এর পাশাপাশি, সুপ্রিম কোর্টে ‘ডগ’ সম্পর্কিত আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ মামলা বিচারাধীন রয়েছে।
সেই মামলায় প্রশ্ন উঠেছে, ‘ডগ’-কে সামাজিক নিরাপত্তা প্রশাসনের (Social Security Administration) তথ্য জনগণের জন্য উন্মুক্ত করার অনুমতি দেওয়া হবে কিনা।
তথ্য সূত্র: সিএনএন