শিরোনাম: ইকুয়েডরের সমুদ্র উপকূলে ডুব দিতে গিয়ে মার্কিন তরুণীর মৃত্যু, শোকের ছায়া
যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী, ২১ বছর বয়সী সেরেনা বেনেট, ইকুয়েডরের সমুদ্র উপকূলে ডুব দিতে গিয়েtragically মারা গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি তিনি বন্যপ্রাণী জীববিজ্ঞান ও পরিবেশবিদ্যা বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেছিলেন।
মেরিন লাইফ নিয়ে পড়াশোনার অংশ হিসেবে অন্যান্য শিক্ষার্থী ও শিক্ষকের সঙ্গে তিনি একটি শিক্ষা সফরে গিয়েছিলেন। জানা যায়, গত ১৮ই মে, রবিবার, ডুব দেওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে।
উত্তর-পশ্চিম নাজারেিন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে গভীর শোক প্রকাশ করেছে এবং এটিকে হৃদয়বিদারক ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে আরও জানা যায়, এই ডুবের আগে অংশগ্রহণকারীদের ডুবুরি হওয়ার প্রশিক্ষণ ছিল। ঘটনার পরে, শিক্ষক, ডুবুরি দলের সদস্য এবং চিকিৎসা কর্মীরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করেন। তবে কিভাবে এই ঘটনা ঘটল, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি।
সেরেনা বেনেট, যিনি তার পড়াশোনায় খুব ভালো ফল করেছিলেন, বন্যপ্রাণী এবং ফটোগ্রাফির প্রতি অনুরাগী ছিলেন। তিনি পশুপ্রেমী হিসেবেও পরিচিত ছিলেন।
সেখানকার ‘লেক লোয়েল অ্যানিমেল রেসকিউ’ নামক একটি সংস্থা জানিয়েছে, সেরেনা দীর্ঘদিন ধরে তাদের সঙ্গে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছেন এবং সবার কাছে অত্যন্ত প্রিয় ছিলেন।
সংস্থাটি তাদের শোকবার্তায় জানায়, সেরেনা ছিলেন নির্ভীক এবং পশুদের প্রতি নিবেদিতপ্রাণ। তিনি বিড়ালছানাদের উদ্ধারের জন্য বাড়ির নিচে ঢুকে যেতেন, আহত পশুদের দেখাশোনা করতেন এবং তাদের আশ্রয়স্থলে পৌঁছে দিতেন।
সেরেনার অকাল মৃত্যুতে তারা গভীরভাবে শোকাহত। বর্তমানে সংস্থাটি তাদের কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে, কারণ কর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকরা এই শোক কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছেন।
সেরেনার পরিবারকে সমবেদনা জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এবং উদ্ধারকারী সংস্থা উভয়ই। তারা বলেছেন, সেরেনা এমন একটি জীবন যাপন করেছেন যা সত্যিই অনুকরণীয় এবং তিনি নিজের সময়, ভালোবাসা ও সহানুভূতি দিয়ে মানুষের জীবন গড়েছেন।
তথ্য সূত্র: পিপল