শিরোনাম: মিয়ামির তরুণীর মর্মান্তিক পরিণতি: জরুরি স্বাস্থ্য বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে অভিভাবকদের সচেতনতা
মিয়ামির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বাইলি গ্রোগানের জীবনাবসান হয় এক মর্মান্তিক দুর্ঘটনায়। বন্ধুদের সাথে একটি রাতের পার্টি শেষে, রাইডশেয়ারিং-এর মাধ্যমে ফেরার পথে ঘটে এই ঘটনা।
বাইলির মা শওনি বেকার, তার মেয়ের অকাল মৃত্যুতে শোকাহত। এই ঘটনার পরে তিনি অন্যান্য অভিভাবকদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন, যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটেও অত্যন্ত জরুরি।
বাইলি ছিলেন মিয়ামি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্রী। ঘটনার দিন বন্ধুদের সাথে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন তিনি। রাত গভীর হওয়ার পরে, তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন রাইডশেয়ারিং-এর ব্যবস্থা করেন।
কিন্তু সেই রাতে ঘটে যাওয়া কিছু অপ্রত্যাশিত ঘটনার কারণে, বাইলির জীবন tragedy-র দিকে মোড় নেয়। গভীর রাতে তিনি কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তির সাথে একটি গাড়িতে উঠেন, যাদের সম্পর্কে তিনি খুব একটা জানতেন না।
এরপর কী ঘটেছিল, তা এখনো স্পষ্ট নয়, তবে শেষ পর্যন্ত তিনি মারাত্মকভাবে আহত হন এবং হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এই ঘটনার পর, বাইলির পরিবার একটি কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হন। কারণ, বাইলির বয়স ছিল ১৯ বছর, এবং তিনি প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ায়, তার চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে অভিভাবকদের কিছু সীমাবদ্ধতা ছিল।
যুক্তরাষ্ট্রে, এই ধরনের পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য বিষয়ক সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে ‘হেলথ কেয়ার প্রক্সি’ নামক একটি গুরুত্বপূর্ণ আইনি ডকুমেন্টের প্রয়োজন হয়। এই ডকুমেন্টে, একজন ব্যক্তি আগে থেকেই নির্দিষ্ট করে যান, কোনো অসুস্থতার সময় তার পক্ষে কে চিকিৎসা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন।
বাইলির কাছে এই ধরনের কোনো কাগজ না থাকায়, তার মা-বাবাকে অনেক জটিলতার মধ্যে পড়তে হয়েছিল। চিকিৎসকরা সরাসরি তাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করতে পারেননি, ফলে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হয়েছিল।
শওনি বেকার, তার মেয়ের মৃত্যুর পর, অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বাড়ানোর জন্য কাজ করছেন। তিনি মনে করেন, প্রত্যেক অভিভাবকের উচিত তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য বিষয়ক অধিকার সম্পর্কে ভালোভাবে জানানো এবং প্রয়োজনে তাদের জন্য ‘হেলথ কেয়ার প্রক্সি’ তৈরি করতে উৎসাহিত করা।
বাংলাদেশেও, যখন কোনো প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি অসুস্থ হন, তখন তার চিকিৎসার বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া প্রয়োজন হয়। তবে, এখানেও অনেক সময় পরিবারের সদস্যরা, বিশেষ করে বাবা-মা, সরাসরি চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না, কারণ অনেক ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা থাকে।
তাই, এই বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা জরুরি।
বাইলি গ্রোগানের ঘটনা আমাদের একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দেয়। অভিভাবকদের উচিত তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা এবং আইনি অধিকার সম্পর্কে সবসময় অবগত থাকা। বিশেষ করে, যারা দেশের বাইরে পড়াশোনা করতে যায়, তাদের জন্য এই ধরনের সুরক্ষা ব্যবস্থা খুবই জরুরি।
স্বাস্থ্য বিষয়ক জরুরি অবস্থার জন্য প্রস্তুত থাকতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বাস্থ্য বিষয়ক সিদ্ধান্ত গ্রহণে সাহায্য করার জন্য অভিভাবকদের এগিয়ে আসা উচিত।
শওনি বেকার বর্তমানে একটি ফাউন্ডেশন তৈরি করেছেন, যা তরুণদের নিরাপত্তা এবং অভিভাবকদের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বিশ্বাস করেন, বাইলির এইtragic মৃত্যু অন্যদের জীবন বাঁচাতে সহায়ক হবে।
তথ্যসূত্র: সিএনএন