এখানে মূল খবর:
**টিকটক তারকা আনা গ্রেস ফেলান-এর ১৯ বছর বয়সে ব্রেইন ক্যান্সারে মৃত্যু**
যুক্তরাষ্ট্রের তরুণ টিকটক ইনফ্লুয়েন্সার আনা গ্রেস ফেলান-এর ব্রেইন ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার এক বছরের কম সময়ের মধ্যে ১৯ বছর বয়সে মৃত্যু হয়েছে। শনিবার, ২৪শে মে তাঁর পরিবারের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই দুঃখজনক খবরটি জানানো হয়।
ফেলান-এর পরিবার জানায়, তিনি গত শুক্রবার, ২৩শে মে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। পরিবারটি তাদের শোকবার্তায় জানায়, “গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি যে আমাদের আদরের কন্যা আনা গ্রেস ফেলান তাঁর প্রভু ও ত্রাণকর্তা যিশু খ্রিস্টের কাছে ফিরে গিয়েছেন।” তারা আরও লিখেছেন, “অনেকেই তাঁর কঠিন ক্যান্সার যুদ্ধের সাক্ষী ছিলেন এবং তাঁর শক্তিশালী বিশ্বাসের প্রমাণ দেখেছেন।
জানা গেছে, আনা জর্জিয়ার বাসিন্দা ছিলেন। তিনি গত গ্রীষ্মে (২০২৪ সাল) কলেজে যাওয়ার কয়েক দিন আগে অসুস্থতা অনুভব করেন। এরপর তিনি তাঁর অসুস্থতা এবং চিকিৎসা সম্পর্কে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিয়মিত তথ্য দিতেন। টিকটকে তাঁর অনুসারীর সংখ্যা ছিল প্রায় ১ লক্ষ ৪০ হাজার।
আনার পরিবার জানিয়েছে, উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাশ করার পর তিনি একটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রিসেপশনিস্ট হিসেবে কাজ করতেন। তিনি স্থানীয় খ্রিস্টান চার্চের সঙ্গেও সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন।
চিকিৎসা সূত্রে জানা যায়, আনা গ্রেড ৪ ম্যালিগন্যান্ট ব্রেইন টিউমারে (মস্তিষ্কের ক্যান্সার) আক্রান্ত হয়েছিলেন। এটি ছিল এক ধরনের গ্লিওমা (glioma), যা মস্তিষ্ক বা মেরুদণ্ড স্নায়ুর মধ্যে হওয়া কোষের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি। রোগের প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁর মুখের একপাশে এবং পায়ে অসাড়তা দেখা দেয়। পরীক্ষার পর তাঁর মস্তিষ্কে একটি ক্ষত ধরা পড়ে এবং পরে বায়োপসি করা হলে ক্যান্সার নিশ্চিত হয়।
আনা তাঁর টিকটক ভিডিওতে জানিয়েছিলেন, “এটা সম্ভবত আমার জীবনের সবচেয়ে কঠিন খবর।” তিনি আরও বলেছিলেন, “আমি ঈশ্বরের উপর বিশ্বাস রেখে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করব।
পরবর্তী ভিডিওগুলোতে আনা তাঁর চিকিৎসা এবং শারীরিক অবস্থার অবনতি সম্পর্কে জানান। তাঁর শ্বাসকষ্ট এবং মাথা ঘোরা দেখা দেয়। তিনি তাঁর শেষ ভিডিওগুলোতে বন্ধু এবং পরিবারের সঙ্গে কাটানো মুহূর্তগুলো তুলে ধরেছিলেন। মৃত্যুর কয়েক দিন আগেও তিনি তাঁর অনুসারীদের কাছে তাঁর আরোগ্য কামনায় প্রার্থনা চেয়েছিলেন।
আনার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৯শে মে জর্জিয়ায় তাঁর শেষকৃত্য অনুষ্ঠিত হবে।
তথ্য সূত্র: পিপল