অস্ট্রিয়ার সাবেক চ্যান্সেলর সেবাস্তিয়ান কুর্জের বিরুদ্ধে আনা মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়ার অভিযোগ খারিজ করে দিয়েছে দেশটির একটি আপিল আদালত। সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে, কুর্জকে এই অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে আট মাসের স্থগিত কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
আদালতের এই রায়ের ফলে কুর্জের বিরুদ্ধে থাকা একমাত্র ফৌজদারি অভিযোগটি বাতিল হয়ে গেল। এর মাধ্যমে, ভবিষ্যতে রাজনীতিতে তার ফিরে আসার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে গেল।
তবে, ২০১৬ সালে ক্ষমতা থেকে সরে যাওয়ার আগে দুর্নীতির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে এখনো একটি তদন্ত চলছে।
জানা যায়, কুর্জের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি যখন চ্যান্সেলর ছিলেন, তখন নতুন গঠিত রাষ্ট্রীয় কোম্পানি ওবিএজি-এর কর্মকর্তাদের নিয়োগের বিষয়ে তিনি কতটা জড়িত ছিলেন, সে সম্পর্কে মিথ্যা তথ্য দিয়েছিলেন।
যদিও এসব নিয়োগের আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব ছিল অর্থমন্ত্রীর।
২০২০ সালে এক সংসদীয় তদন্ত কমিটিতে কুর্জ জানিয়েছিলেন, তিনি ‘বিষয়টি সম্পর্কে অবগত ছিলেন’। তবে প্রথম আদালতের বিচারক রায় দিয়েছিলেন যে কুর্জ মিথ্যা বলছেন এবং তিনি এই নিয়োগ প্রক্রিয়ায় সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।
আদালতের এই সিদ্ধান্তের পর কুর্জ এক প্রতিক্রিয়ায় জানান, “আমি সবসময় যা বলেছি, তাই প্রমাণ হয়েছে।
তদন্ত কমিটিতে আমি কোনো মিথ্যা কথা বলিনি।”
প্রসঙ্গত, সেবাস্তিয়ান কুর্জ বর্তমানে অস্ট্রিয়ান পিপলস পার্টি (ওভিপি)-এর সদস্য নন এবং সক্রিয় রাজনীতি থেকেও দূরে রয়েছেন।
যদিও ওভিপির কিছু সদস্য মনে করেন, দলের নেতৃত্ব পরিবর্তন হলে তিনি আবার রাজনীতিতে ফিরতে পারেন। তবে জনমত জরিপে দেখা গেছে, অধিকাংশ অস্ট্রিয়ান চান না তিনি আবার রাজনীতিতে আসুন।
কুর্জ ২০১৭ এবং ২০১৯ সালের নির্বাচনে তার দলকে নেতৃত্ব দিয়ে জয় এনেছিলেন।
অভিবাসন ইস্যুতে তিনি কট্টরপন্থী অবস্থান নিয়েছিলেন, যা পরবর্তীতে চরম-ডানপন্থী ফ্রিডম পার্টির (এফপিও) মতো দলগুলোর সঙ্গে মিল খুঁজে পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরের নির্বাচনে এফপিও জয়লাভ করে।
বর্তমানে কুর্জ একজন পরামর্শক এবং প্রযুক্তি উদ্যোক্তা হিসেবে কাজ করছেন এবং তিনি তার নতুন পেশায় খুশি বলে জানিয়েছেন।
বর্তমানে ওভিপি, যা নির্বাচনে দ্বিতীয় স্থানে ছিল, তারা বর্তমান তিন-দলীয় কেন্দ্রপন্থী জোট সরকারের নেতৃত্ব দিচ্ছে, যার প্রধান হলেন ওভিপির চ্যান্সেলর ক্রিশ্চিয়ান স্টোকার।
তথ্য সূত্র: সিএনএন