রুমেনিয়ার নতুন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন নিকুসোর ডান। কিন্তু তাঁর এই জয়কে সহজে মেনে নিতে পারছে না দেশটির কট্টর ডানপন্থী দলগুলো।
তাদের অভিযোগ, নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে এবং এর পেছনে বিদেশি শক্তি কাজ করেছে। যদিও দেশটির সাংবিধানিক আদালত নির্বাচনের ফলকে বৈধতা দিয়েছে, তারপরও বিরোধীরা বিষয়টিকে ভালোভাবে দেখছে না।
গত ১৮ই মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ডানের জয় হয়। এর আগে নভেম্বরের প্রথম দিকের নির্বাচন বাতিল করা হয়েছিল, যার কারণ হিসেবে জানা যায়, রাশিয়া নির্বাচনে হস্তক্ষেপ করেছিল।
ডানের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন জর্জ সিমিয়ন। সিমিয়নের দল, ‘অ্যালায়েন্স ফর দ্য ইউনিয়ন অফ রোমানিয়ানস’ (AUR) শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে যোগ দেয়নি এবং এটিকে ‘জাতীয় বিশ্বাসঘাতকতা’ হিসেবে অভিহিত করেছে। সিমিয়ন নির্বাচনের ফলকে ‘অভ্যুত্থান’ বলেও মন্তব্য করেছেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়ন (EU) এবং ন্যাটো জোটের সঙ্গে রুমেনিয়ার সম্পর্ক বজায় রাখার জন্য ডানের এই জয়কে খুবই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে দেশটির স্থিতিশীলতা বজায় রাখা জরুরি।
নির্বাচনে জয়ের পর ডান প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, তিনি দুর্নীতি নির্মূল করবেন এবং দেশের অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সমস্যাগুলো সমাধানে কাজ করবেন। তিনি একটি ‘নতুন অধ্যায়’ শুরু করারও অঙ্গীকার করেছেন।
ডানের প্রধান প্রতিপক্ষ সিমিয়ন নির্বাচনের ফল ঘোষণার পর থেকেই বিদেশি হস্তক্ষেপের অভিযোগ এনেছেন। যদিও তিনি তার দাবির স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ দিতে পারেননি।
নভেম্বরের নির্বাচনে কট্টর ডানপন্থী ক্যালিন জর্জেস্কু প্রথম রাউন্ডে বেশি ভোট পেলেও, নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে তাকে দৌড় থেকে বাদ দেওয়া হয়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ডানের সামনে এখন বেশ কিছু কঠিন চ্যালেঞ্জ রয়েছে। তাকে সবার আগে এমন একজন প্রধানমন্ত্রী নির্বাচন করতে হবে যিনি নতুন সরকার গঠনে সমর্থন পাবেন।
এছাড়া, দেশটির অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলা করাও জরুরি। কারণ, দেশটির বর্তমান সরকার ব্যয়ের ক্ষেত্রে লাগামছাড়া হয়েছে।
রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের এই সময়ে ডানের ওপর নির্ভর করছে রুমেনিয়ার ভবিষ্যৎ। এখন দেখার বিষয়, তিনি কিভাবে এই সংকটগুলো মোকাবেলা করেন এবং দেশকে স্থিতিশীলতার দিকে নিয়ে যান।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা