নিউজিল্যান্ডের শহরতলিতে বসবাস করা একজন মানুষের গল্প, যিনি ২৫ বছর পর আবার নিউ ইয়র্ক নিক্স দলের খেলায় স্বপ্ন দেখছেন। তাঁর আবেগ যেন বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রেমীদের মতোই, যারা তাদের দলের জয়ের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে।

আমেরিকার বাস্কেটবল জগতের অন্যতম জনপ্রিয় দল হল নিউ ইয়র্ক নিক্স। তারা ন্যাশনাল বাস্কেটবল অ্যাসোসিয়েশন (NBA)-এর একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। এই দলটি এবার প্লে-অফের ‘ইস্টার্ন কনফারেন্স ফাইনাল’-এ পৌঁছেছে, যা গত ২৫ বছরে তাদের পক্ষে এক বিশাল অর্জন। দলের এই সাফল্যে নিউ ইয়র্কের ক্রীড়াপ্রেমীদের মাঝে আনন্দের ঢেউ লেগেছে।

খেলাধুলার প্রতি নিউ ইয়র্কের মানুষের ভালোবাসা নতুন কিছু নয়। নব্বইয়ের দশকে যখন প্যাট্রিক এউইংয়ের মতো তারকারা খেলতেন, তখন দলটি প্রায়ই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে যেত। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ট্রফি জেতা হয়নি। সেই সময়টা ছিল নিক্স ভক্তদের জন্য স্বপ্নের মতো, যা আজও তাদের মনে গেঁথে আছে। সেই স্মৃতিগুলো তাদের কাছে অমূল্য।

দীর্ঘ ২৫ বছর পর, নিক্স আবার আলোচনায় ফিরে এসেছে। এবার তাদের সামনে ইন্ডিয়ানা প্যাসার্স-এর চ্যালেঞ্জ। যদিও সিরিজে তারা ১-৩ ব্যবধানে পিছিয়ে আছে, তবুও ভক্তদের মনে আশা জেগেছে। তাদের বিশ্বাস, দলটি এবার ভালো কিছু করবে।

নিউ ইয়র্কের একজন ভক্ত, যিনি ১৯৯৪ সালের ফাইনাল খেলার কথা মনে রেখেছেন, তিনি বলেন, “আমরা যেন আবার সেই পুরনো দিনের অনুভূতি ফিরে পাচ্ছি।” দলের পুনরুত্থান দেখে তিনি আবেগাপ্লুত। তিনি আরও বলেন, “দীর্ঘদিন পর আমরা আবার শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছি।”

এই সাফল্যের পেছনে খেলোয়াড় জ্যালেন ব্রানসন এবং কোচ টম থিবোদেউ-এর অবদান অনস্বীকার্য। ব্রানসন দলের প্রধান খেলোয়াড় এবং কোচ থিবোদেউ সেই দলের একজন সহকারী ছিলেন, যারা ১৯৯৯ সালে NBA ফাইনালে খেলেছিল।

নিউ ইয়র্কের ম্যাডিসন স্কোয়ার গার্ডেন-এ খেলা চলাকালীন সময়ে দর্শকদের উন্মাদনা চোখে পড়ার মতো। খেলার উত্তেজনা যেন বাংলাদেশের ক্রিকেট মাঠের মতোই, যেখানে হাজার হাজার দর্শক তাদের প্রিয় দলের জন্য গলা ফাটায়।

তবে, প্লে-অফের এই পর্যায়ে টিকে থাকা সহজ নয়। ইন্ডিয়ানা প্যাসার্স শক্তিশালী প্রতিপক্ষ এবং তাদের বিপক্ষে জয় পেতে হলে নিক্সকে কঠিন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করতে হবে। যদিও সিরিজ এখনো শেষ হয়নি, তবে ভক্তরা তাদের দলের জন্য সমর্থন অব্যাহত রেখেছেন। তাদের মতে, “আমরা আগামীকালকের জন্য অপেক্ষা করতে রাজি নই। আমরা এখনই উদযাপন করতে চাই।”

তথ্য সূত্র: CNN