যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে অভিবাসন প্রত্যাশীদের আটকের ঘটনায় সামরিক বাহিনীর সক্রিয়তা বাড়ানো হয়েছে। মার্কিন সেনাবাহিনীর সৈন্যরা সম্প্রতি সীমান্ত অঞ্চলে অনুপ্রবেশের অভিযোগে অভিবাসীদের আটক করতে শুরু করেছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের নতুন সীমান্ত নিরাপত্তা নীতির অংশ হিসেবে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যা এরই মধ্যে বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
গত সপ্তাহে, নিউ মেক্সিকোর সান্টা টেরেসা এলাকার কাছে সামরিক বাহিনীর সদস্যরা তিনজন অভিবাসীকে আটকের পর দ্রুত সীমান্ত সুরক্ষা বিভাগের কাছে হস্তান্তর করে। এই ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনা দেন মার্কিন সেনা লেফটেন্যান্ট কর্নেল চ্যাড ক্যাম্পবেল।
তিনি জানান সামরিক বাহিনীর সদস্যরা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করে তাদের বসতে বলেন এবং এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই বর্ডার পেট্রোল এজেন্টরা এসে তাদের হেফাজতে নেয়।
নতুন নীতি অনুসারে, সীমান্ত এলাকার সামরিকীকরণের অংশ হিসেবে টেক্সাস এবং নিউ মেক্সিকোর কিছু এলাকাকে ‘জাতীয় প্রতিরক্ষা অঞ্চল’ ঘোষণা করা হয়েছে। এর ফলে, ঐসব অঞ্চলে অবৈধভাবে প্রবেশ করা অভিবাসীদের বিরুদ্ধে সামরিক বাহিনী সরাসরি ব্যবস্থা নিতে পারবে।
এই পদক্ষেপের মাধ্যমে, সীমান্তে নিরাপত্তা আরও জোরদার করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
তবে, এই নীতির বিরুদ্ধে এরই মধ্যে বিভিন্ন মহলে সমালোচনা শুরু হয়েছে। সমালোচকদের মতে, সামরিক বাহিনীর এই ধরনের ভূমিকা নাগরিক অধিকারের পরিপন্থী।
এমনকি, কিছু ক্ষেত্রে অভিবাসীদের বিরুদ্ধে আনা জাতীয় নিরাপত্তা সংক্রান্ত অভিযোগগুলো খারিজ করে দিয়েছেন আদালত।
এই প্রেক্ষাপটে, অভিবাসন বিরোধী নীতির প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন শহরে বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেসের মেয়রসহ অনেক জনপ্রতিনিধি ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এবং অভিবাসন নীতিতে পরিবর্তন আনার দাবি জানিয়েছেন।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় অতিরিক্ত সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদার এবং অবৈধ অভিবাসন বন্ধ করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু সমালোচকরা মনে করেন, এর ফলে সীমান্তে মানবিক সংকট আরও বাড়তে পারে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন