1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 14, 2025 12:15 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
আতলেটিকো বিতর্ক: ভিএআর কি সমাধান নাকি উদ্বেগের কারণ? এলোন মাস্কের মন্তব্যে জীবননাশের হুমকি, কেঁদে ফেললেন অভিনেত্রী! স্বাস্থকর রুটি বানানোর সহজ উপায়: ঘরেই তৈরি করুন পারফেক্ট বেকিং কিট! আলভারেজের পেনাল্টি নিয়ে বিতর্কের ঝড়, নিয়ম বদলের পথে উয়েফা! ফ্রাঙ্কি দেতোরির জীবনে মহা বিপর্যয়! দেউলিয়া হওয়ার ঘোষণা! আহা! গুয়াতেমালার এই শহরের খাবারে লুকিয়ে আছে কোন রহস্য? মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তীব্র গরম: বাড়ছে মৃত্যু, এখনই সাবধান! ট্রাম্পের বিতর্কিত সিদ্ধান্ত: সরকারি কর্মীদের অপসারণে কি ধ্বংসের খেলা? আতঙ্কে ডলার জেনারেল! কম আয়ের মানুষের জীবনে কি ভয়াবহ বিপদ? ফেসবুকে ফিরছে ফ্যাক্ট-চেকিং? মেটা’র নতুন চমক!

ট্রাম্পের বন ধ্বংসের ‘গড স্কোয়াড’ ব্যবহারের ইচ্ছা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Wednesday, March 5, 2025,

যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় বনভূমি এবং জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য সংরক্ষিত জমিগুলোতে গাছ কাটার পরিমাণ বাড়াতে চান দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর অংশ হিসেবে তিনি পরিবেশ রক্ষার বিদ্যমান কিছু আইনের বিধি-নিষেধ শিথিল করতে চাচ্ছেন, যা নিয়ে পরিবেশবাদীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরম উদ্বেগ।

গাছ কাটার পরিমাণ বাড়ানোর জন্য ট্রাম্প প্রশাসন একটি বিশেষ কমিটির সহায়তা নিতে চাইছে। এই কমিটির নাম ‘এন্ডেঞ্জার্ড স্পিসিজ কমিটি’ (Endangered Species Committee), যা ‘গড স্কোয়াড’ (God Squad) নামেও পরিচিত। এই কমিটি কোনো প্রকল্পের অনুমোদন দিতে পারে, এমনকি যদি সেই প্রকল্পের কারণে কোনো বিপন্ন প্রজাতির প্রাণী বিলুপ্তির ঝুঁকিতেও পরে।

তবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ‘গড স্কোয়াড’ ব্যবহারের ক্ষেত্রে কিছু কঠোর নিয়ম-কানুন রয়েছে। এই কমিটি ইচ্ছে করলেই পরিবেশ রক্ষার আইনকে এড়িয়ে যেতে পারে না।

আসুন, এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেওয়া যাক:

**ট্রাম্পের পরিকল্পনা কী?**

সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জাতীয় বনভূমি এবং অন্যান্য সরকারি জমিতে কাঠ উৎপাদন বাড়াতে একটি নির্দেশ জারি করেছেন। এর মাধ্যমে তিনি ফেডারেল সংস্থাগুলোকে বিপন্নপ্রায় প্রজাতির সুরক্ষার বিষয়টি এড়িয়ে যাওয়ার উপায় খুঁজতে বলেছেন।

ক্ষমতায় আসার পর ট্রাম্প জাতীয় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন এবং ‘গড স্কোয়াড’কে বছরে অন্তত একবার বৈঠক করার নির্দেশ দেন। বৈঠকে বিপন্নপ্রায় প্রজাতি বিষয়ক আইন (Endangered Species Act) এবং সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী সুরক্ষা আইনের (Marine Mammal Protection Act) আওতায় কোনো ছাড় দেওয়া যায় কিনা, অথবা এই সংক্রান্ত কোনো বাধা আছে কিনা, তা খতিয়ে দেখতে বলা হয়। বিপন্নপ্রায় প্রজাতি বিষয়ক আইন অনুযায়ী, সুরক্ষিত কোনো প্রজাতির ক্ষতি করা বা তাদের হত্যা করা অবৈধ। আর এই আইনের কারণেই কাঠ কাটা, খনিজ উত্তোলন এবং তেল ও গ্যাস অনুসন্ধানের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। অন্যদিকে, সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী সুরক্ষা আইন সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণী হত্যা ও তাদের প্রতি কোনো ধরনের নির্যাতন নিষিদ্ধ করে।

**আসলে কি এই ‘গড স্কোয়াড’?**

‘এন্ডেঞ্জার্ড স্পিসিজ কমিটি’ (Endangered Species Committee) নামে পরিচিত এই কমিটি ১৯৭৮ সালে গঠিত হয়। কোনো প্রকল্পের অর্থনৈতিক সুবিধা যাচাই করে যদি দেখা যায় যে, জাতীয় বা আঞ্চলিক স্বার্থে সেই প্রকল্প বাস্তবায়ন করা জরুরি, সেক্ষেত্রে এই কমিটি বিপন্ন প্রজাতি বিষয়ক আইনের সুরক্ষা থেকে ছাড় দিতে পারে।

গাছ কাটার ক্ষেত্রেও এই কমিটির সদস্যরা আলোচনা করে দেখেন যে, গাছ কাটার ফলে যে অর্থনৈতিক সুবিধা পাওয়া যাবে, তা সংরক্ষিত বনের জলধারা এবং অন্যান্য সুবিধার চেয়ে বেশি কিনা।

এই সাত সদস্যের কমিটির প্রধান হলেন স্বরাষ্ট্র সচিব। এছাড়া কৃষি ও সেনাবাহিনীর সচিব, পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা এবং ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রশাসক এবং অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদের চেয়ারম্যানও এই কমিটির সদস্য। এছাড়া, ক্ষতিগ্রস্ত রাজ্যগুলোও এই কমিটিতে প্রতিনিধিত্ব করে থাকে। তবে তাদের ভোটের পরিমাণ সীমিত। কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কমিটির সদস্যদের মধ্যে অন্তত পাঁচজনের সমর্থন প্রয়োজন হয়।

**কখন এই কমিটির বৈঠক ডাকা হয়?**

স্বরাষ্ট্র সচিব কেবল একটি নির্দিষ্ট প্রকল্পের জন্য এই কমিটির বৈঠক ডাকতে পারেন। যদি যুক্তরাষ্ট্রের মৎস্য ও বন্যপ্রাণী বিষয়ক বিভাগ বা ন্যাশনাল মেরিন ফিশারিজ সার্ভিস (National Marine Fisheries Service) পরিবেশগত পর্যালোচনা শেষে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হয় যে, প্রকল্পটি কোনো সুরক্ষিত প্রজাতির অস্তিত্বের জন্য হুমকি স্বরূপ, তবেই কেবল এই কমিটির বৈঠক হতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ট্রাম্প প্রশাসন যা বলছে, তার কোনো ভিত্তি নেই। এই কমিটির কাজ হলো কোনো নির্দিষ্ট প্রকল্পের ছাড়ের বিষয়টি বিবেচনা করা, ভবিষ্যতের জন্য কোনো ছাড়পত্র দেওয়া নয়। এটি করার কোনো এখতিয়ারও তাদের নেই।

**অতীতে কমিটির কার্যক্রম**

গত ৪৭ বছরে এই কমিটি মাত্র দু’বার কোনো প্রকল্পে ছাড় দিয়েছে। প্রথমবার, হুপিং ক্রেন পাখির আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত প্ল্যাট নদীর একটি অংশে বাঁধ নির্মাণের অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে পরবর্তীতে একটি সমঝোতার মাধ্যমে পরিবেশ সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়, যা ওই এলাকার বাস্তুসংস্থানের উন্নতিতে সহায়তা করে এবং হুপিং ক্রেন পাখির সংখ্যাও বৃদ্ধি পায়।

দ্বিতীয়বার, জর্জ এইচ.ডব্লিউ. বুশ-এর শাসনামলে উত্তরাঞ্চলীয় স্পটেড আউল পাখির আবাসস্থলে গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয়েছিল। তবে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলোর আপত্তির মুখে বিল ক্লিনটনের প্রশাসন সেই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়। তাদের অভিযোগ ছিল, কমিটির এই সিদ্ধান্ত রাজনৈতিক এবং এতে আইনের প্রক্রিয়া অনুসরণ করা হয়নি।

তথ্য সূত্র: আমেরিকান মিডিয়া রিপোর্ট

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT