ষাটের দশকে ফ্যাশন জগতে এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছিলেন লেসলি হর্নবি, যিনি ‘টুইগি’ নামেই বিশ্বজুড়ে পরিচিত।
সাদিয়া ফ্রস্ট পরিচালিত একটি নতুন তথ্যচিত্রে সেই ফ্যাশন আইকন টুইগির জীবন ও কর্ম তুলে ধরা হয়েছে।
ডকুমেন্টারিটিতে শুধু মডেল হিসেবেই নয়, অভিনেত্রী, গায়িকা, এবং ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবেও টুইগির সাফল্যের নানা দিক উন্মোচন করা হয়েছে।
লন্ডনের নিসডেনে জন্ম নেওয়া এই তরুণী, কীভাবে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বিশ্ব ফ্যাশন জগতের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠলেন, সেই গল্প সত্যিই অসাধারণ।
সাদিয়া ফ্রস্টের এই সিনেমাটি (২০২১ সালের ‘কোয়ান্ট’ -এর পর ফ্যাশন আইকন নিয়ে তাঁর দ্বিতীয় কাজ) টুইগির বহুমাত্রিক প্রতিভার প্রতিচ্ছবি।
মডেলিংয়ের পাশাপাশি, তিনি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন, ব্রডওয়েতে সঙ্গীত ও নৃত্য পরিবেশন করেছেন, এবং টিভি শো-এর সঞ্চালনাও করেছেন।
ফ্যাশন জগতে তাঁর ডিজাইন করা পোশাকও বেশ জনপ্রিয়।
ডকুমেন্টারিটিতে সেলিব্রিটিদের সাক্ষাৎকার এবং ফ্যাশন জগতের নানা দিক তুলে ধরা হয়েছে।
তবে, এই সিনেমার মূল আকর্ষণ হলেন এর কেন্দ্রীয় চরিত্র, টুইগি।
তাঁর উজ্জ্বল উপস্থিতি ও আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব দর্শকদের মন জয় করে।
ফ্যাশন জগতের এই কিংবদন্তীর জীবন এবং কর্ম নতুন প্রজন্মের কাছে এক অনুপ্রেরণা।
টুইগির জীবন ছিল বৈচিত্র্যে ভরপুর।
একজন মডেল হিসেবে খ্যাতি অর্জনের পর, তিনি নিজেকে বিভিন্ন রূপে উপস্থাপন করেছেন।
অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দর্শকদের মুগ্ধ করেছেন, গানের মাধ্যমে জয় করেছেন হৃদয়, এবং ফ্যাশন ডিজাইনার হিসেবেও রেখেছেন সাফল্যের স্বাক্ষর।
তাঁর এই বহুমুখী প্রতিভাই তাঁকে করেছে অনন্য।
সাদিয়া ফ্রস্টের এই তথ্যচিত্রটি টুইগির জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছে, যা দর্শকদের জন্য খুবই উপভোগ্য হবে।
যারা ফ্যাশন এবং বিনোদন জগতের প্রতি আগ্রহী, তাদের জন্য এই সিনেমাটি একটি দারুণ অভিজ্ঞতা হতে পারে।
তথ্য সূত্র: The Guardian