কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন মার্ক কার্নি
কানাডার রাজনীতিতে সম্প্রতি একটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন এসেছে। দেশটির ক্ষমতাসীন লিবারেল পার্টি তাদের নতুন নেতা হিসেবে নির্বাচিত করেছে মার্ক কার্নিকে। এর ফলে, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর স্থলাভিষিক্ত হতে যাচ্ছেন তিনি। ট্রুডো আসন্ন দিনগুলোতে প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন।
জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কিছু সমস্যা এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্য যুদ্ধের আশঙ্কার কারণে ট্রুডো পদত্যাগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কার্নি এর আগে কানাডার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। নতুন এই দায়িত্ব গ্রহণের ফলে, যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার মধ্যে বিদ্যমান বাণিজ্য সম্পর্ক কেমন থাকে, সেদিকে এখন সবার নজর থাকবে। বিশেষ করে, যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কানাডিয়ান পণ্যের ওপর শুল্ক আরোপের সিদ্ধান্তের পর এই অঞ্চলের পরিস্থিতি বেশ গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
কানাডার পার্লামেন্টারি ব্যবস্থা ওয়েস্টমিনস্টার মডেলের ওপর ভিত্তি করে গঠিত। এই ব্যবস্থায় প্রধানমন্ত্রী হতে হলে পার্লামেন্টের সদস্য হওয়ার প্রয়োজন হয় না, তবে তাকে পার্লামেন্টের আস্থা অর্জন করতে হয়। বর্তমানে লিবারেল পার্টি সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পাওয়ায় কার্নিকে সরকার গঠন করতে বেগ পেতে হবে।
কানাডায় আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ট্রুডোর পদত্যাগ এবং যুক্তরাষ্ট্রের শুল্ক আরোপের প্রতিক্রিয়ায় সরকার যেকোনো সময় নির্বাচনের ডাক দিতে পারে। বিরোধী দলগুলোও দ্রুত নির্বাচনের জন্য চাপ সৃষ্টি করছে। এক্ষেত্রে কার্নিকে হয়তো দ্রুত পার্লামেন্টের সদস্য হতে হবে, যা হয়তো উপনির্বাচনের মাধ্যমে অথবা সাধারণ নির্বাচনের মাধ্যমেই হতে পারে।
মার্ক কার্নি নির্বাচিত হওয়ার পর তার মন্ত্রিসভা কেমন হবে, সে বিষয়ে এখনো কোনো ধারণা পাওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, ট্রুডোর মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য, যেমন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি এবং অর্থমন্ত্রী ডমিনিক লেব্লাঙ্ক, কার্নির মন্ত্রিসভায় গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পেতে পারেন।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কার্নিকে দ্রুত সময়ের মধ্যে জনগণের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা প্রমাণ করতে হবে। সেই লক্ষ্যে তিনি হয়তো দ্রুত পার্লামেন্টের সদস্য হওয়ার চেষ্টা করবেন।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা