মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মী মাহমুদ খলিলের গ্রেপ্তার এবং অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কাসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা নিয়ে উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসনের এই পদক্ষেপকে বাকস্বাধীনতার উপর আঘাত হিসেবে দেখছেন অনেকে। একইসঙ্গে, বিভিন্ন অর্থনৈতিক সূচকের পতন এবং বৈদেশিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি-র কার্যক্রম হ্রাস নিয়েও আলোচনা চলছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ সম্প্রতি মাহমুদ খলিল নামের এক ফিলিস্তিনি অধিকারকর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর বিরুদ্ধে হামাসকে সমর্থনের অভিযোগ আনা হয়েছে।
মাহমুদ খলিল দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন এবং তাঁর গ্রিন কার্ড রয়েছে। আমেরিকান সিভিল লিবার্টিজ ইউনিয়ন (এসিএলইউ) এই গ্রেপ্তারের তীব্র নিন্দা করে একে ‘অভূতপূর্ব, বেআইনি এবং আমেরিকান মূল্যবোধের পরিপন্থী’ হিসেবে উল্লেখ করেছে।
এসিএলইউ-এর পরিচালক বেন উইজনার বলেছেন, সরকার ভিন্নমত পোষণকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চাইছে এবং এর মাধ্যমে জনসাধারণের মধ্যে ভীতি সঞ্চার করতে চাইছে।
অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে।
অনেক অর্থনীতিবিদ মনে করছেন, দেশটির অর্থনীতিতে মন্দা (Trumpcession) আসার সম্ভাবনা বাড়ছে।
শেয়ার বাজারে দরপতন দেখা যাচ্ছে, বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতের কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
এস অ্যান্ড পি ৫০০ সূচক ২.৭ শতাংশ এবং নাসডাক ৪ শতাংশ পর্যন্ত হ্রাস পেয়েছে।
এছাড়াও, ট্রাম্প প্রশাসনের বিতর্কিত বাণিজ্য নীতির কারণে কানাডার অন্টারিও প্রদেশ যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিদ্যুত্ আমদানির ওপর ২৫ শতাংশ সারচার্জ আরোপ করেছে।
প্রাক্তন উপদেষ্টা ও বিশ্লেষকদের মতে, শুল্ক আরোপের এই নীতি ভুল এবং যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি দুর্বল হয়ে পড়েছে।
আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা ইউএসএআইডি-র কার্যক্রমও কাটছাঁট করা হয়েছে।
ট্রাম্প প্রশাসন সংস্থাটির ৮৩ শতাংশ প্রোগ্রাম বন্ধ করে দিয়েছে, যা উন্নয়নশীল দেশগুলোতে সাহায্য কার্যক্রমের ওপর বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতেও অস্থিরতা দেখা যাচ্ছে।
একটি পত্রিকার কলামিস্ট পদত্যাগ করেছেন এবং ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতির দুর্বলতা নিয়েও আলোচনা চলছে।
মোটকথা, মাহমুদ খলিলের গ্রেপ্তার, অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা এবং বৈদেশিক সাহায্য হ্রাস – এই সবগুলো ঘটনা বর্তমান বিশ্বের রাজনীতি ও অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
এই বিষয়গুলো বাংলাদেশের জন্য সরাসরি প্রভাব ফেলতে পারে, বিশেষ করে বাণিজ্য এবং অর্থনৈতিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান