যুক্তরাষ্ট্রের একজন ফেডারেল বিচারক আগামীকালের শুনানিতে ফিলিস্তিনের পরিচিত অ্যাক্টিভিস্ট মাহমুদ খলিলের আটকের বিষয়ে শুনানি গ্রহণ করতে যাচ্ছেন।
কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন এই শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন কর্তৃপক্ষ ‘সন্ত্রাসী সংগঠনের সঙ্গে সম্পর্ক’ থাকার অভিযোগ এনেছে, যদিও এর স্বপক্ষে কোনো প্রমাণ তারা হাজির করতে পারেনি।
মাহমুদ খলিল, যিনি গ্রিন কার্ডধারী একজন স্থায়ী মার্কিন বাসিন্দা, গত শনিবার রাতে নিউ ইয়র্কের নিজের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে গ্রেপ্তার হন।
তার আইনজীবীর দাবি, স্টেট ডিপার্টমেন্টের নির্দেশে তার গ্রিন কার্ড বাতিল করার জন্যই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
খলিল গত বছর কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে গাজা সংহতি আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন এবং বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতা করেন।
বর্তমানে তিনি লুইজিয়ানার একটি ডিটেনশন সেন্টারে বন্দি অবস্থায় আছেন এবং অভিবাসন আদালতের শুনানির অপেক্ষায় রয়েছেন।
আদালতে খলিলের আইনজীবীরা তার মুক্তি এবং নিউ ইয়র্কে তার প্রত্যাবর্তনের আবেদন জানিয়েছেন।
তারা বলছেন, খলিলের এই আটক তার রাজনৈতিক কার্যক্রমের কারণে প্রতিশোধমূলক ব্যবস্থা এবং মত প্রকাশের স্বাধীনতার লঙ্ঘন।
আগামী মাসে খলিলের আমেরিকান স্ত্রী তাদের প্রথম সন্তানের জন্ম দিতে যাচ্ছেন।
এদিকে, ট্রাম্প প্রশাসন খলিলকে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বিতাড়িত করতে চাইছে।
সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এক বিবৃতিতে বলেছেন, খলিলের উপস্থিতি দেশের স্বার্থের পরিপন্থী এবং তার গ্রেপ্তারির ঘটনা ভবিষ্যতে আরও অনেকের ক্ষেত্রে ঘটতে পারে।
হোয়াইট হাউজের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লেভিট বলেছেন, পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও ‘ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্ট’-এর অধীনে মাহমুদ খলিলের ভিসা বাতিলের অধিকার সংরক্ষণ করেন, যা তাকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রনীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য ক্ষতিকর বিবেচিত ব্যক্তিদের গ্রিন কার্ড বা ভিসা বাতিল করার ক্ষমতা দেয়।
খলিলের এই গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে নিউ ইয়র্ক শহরে এরই মধ্যে প্রতিবাদ শুরু হয়েছে এবং মানবাধিকার সংস্থাগুলো এর তীব্র নিন্দা জানিয়েছে।
খলিলের স্ত্রী তার স্বামীর মুক্তি চেয়ে আকুতি জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তাদের প্রথম সন্তানের আগমনের প্রস্তুতি নেওয়ার পরিবর্তে, তিনি এখন একা ঘরে বসে আছেন এবং তার স্বামীর ফোন কলের অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন।
তথ্যসূত্র: দ্য গার্ডিয়ান