ইংল্যান্ড বনাম লাটভিয়ার বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের ম্যাচে ৩-০ গোলের জয় পেলেও, মাঠের খেলায় এখনো পর্যন্ত নিজেদের সেরা ছন্দে ফিরতে পারেনি ইংল্যান্ড। কোচ থমাস টুখেল দলের আক্রমণভাগে আরো ধার দেখতে চাইছেন, কিন্তু মাঝমাঠের সংযোগ স্থাপনকারী একজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়ের অভাব এখনো প্রকট।
ম্যাচে ইংল্যান্ডের হয়ে গোল করেন রিস জেমস, হ্যারি কেইন এবং ইবেরেচি এজে। খেলার শুরু থেকে ইংল্যান্ড আধিপত্য বিস্তার করলেও, মাঝমাঠের দুর্বলতা বারবার চোখে পড়েছে।
জুড বেলিংহ্যামের মতো প্রতিভাবান খেলোয়াড় থাকা সত্ত্বেও, মাঝেমধ্যে দল ছন্দ হারিয়ে ফেলে। বেলিংহ্যাম বল পায়ে অতিরিক্ত সময় নিয়ে প্রতিপক্ষের খেলোয়াড়দের সুযোগ করে দেন, যা দলের আক্রমণকে দুর্বল করে তোলে।
কোচ টুখেল দলের আক্রমণকে শক্তিশালী করতে ফিল ফোডেনকে মাঠে নামান। ফোডেন মাঠে নামার পর খেলার গতি বাড়ে এবং আক্রমণের ধার বাড়ে। মরগান রজার্সের সক্রিয়তাও দলের খেলায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
তবে, মাঝমাঠে একজন নির্ভরযোগ্য খেলোয়াড়ের অভাব এখনো পূরণ হয়নি, যিনি দ্রুত পাস দিতে এবং আক্রমণভাগের খেলোয়াড়দের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারেন।
ইংল্যান্ডের কোচ টুখেল খেলোয়াড় নির্বাচনে দলগত পারফরম্যান্সের ওপর বেশি জোর দেন। তিনি মনে করেন, দলের সেরা খেলোয়াড় বাছাইয়ের চেয়ে সেরা দল গঠন করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। তিনি উইঙ্গারদের কাছ থেকে আরও গতি এবং আক্রমণাত্মক ফুটবল প্রত্যাশা করেন।
অন্যদিকে, লাটভিয়ার রক্ষণাত্মক কৌশল ছিল বেশ স্পষ্ট। তারা মূলত ইংল্যান্ডের আক্রমণ প্রতিহত করার চেষ্টা করেছে এবং মাঝেমধ্যে প্রতি-আক্রমণে যাওয়ার চেষ্টা করেছে।
তবে, ইংল্যান্ডের আক্রমণভাগের সামনে তারা সুবিধা করতে পারেনি।
ইংল্যান্ডের এই জয় বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে তাদের সম্ভাবনা আরও উজ্জ্বল করেছে। তবে, নকআউট পর্বে ভালো ফল করতে হলে, দলের মাঝমাঠের দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে এবং একজন নির্ভরযোগ্য প্লেমেকার খুঁজে বের করতে হবে।
তরুণ খেলোয়াড় অ্যাডাম ওয়ার্টন অনূর্ধ্ব-২১ দলে ভালো পারফর্ম করে নির্বাচকদের নজর কেড়েছেন, তাই ভবিষ্যতে তাকে দলে দেখা যেতে পারে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান