শিরোনাম: গ্যারি লিনেকারের বিশ্বকাপ জয়যাত্রা: যে ম্যাচে বিশ্ব তারকার জন্ম
মেক্সিকোতে অনুষ্ঠিত ১৯৮৬ সালের ফিফা বিশ্বকাপ, ফুটবল ইতিহাসের পাতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অধিকার করে আছে। সেই আসরেই জন্ম হয়েছিল এক নতুন তারকার, যিনি পরবর্তীতে বিশ্বজুড়ে ফুটবলপ্রেমীদের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছিলেন।
তিনি আর কেউ নন, ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার গ্যারি লিনেকার।
বিশ্বকাপের শুরুটা অবশ্য লিনেকারের জন্য মোটেও সুখকর ছিল না। প্রথম দুটি ম্যাচে দল ভালো ফল করতে পারেনি, এবং লিনেকারও ছিলেন নিজের সেরা ছন্দে ফেরার জন্য লড়াকু।
সমালোচকদের তীর তখন তাঁর দিকেই ছুটে আসছিল। দেশের হয়ে গোল করতে না পারায় অনেকেই হতাশ ছিলেন। ইংল্যান্ড দল গ্রুপ পর্ব থেকে বাদ পড়ার ঝুঁকিতে ছিল, এবং লিনেকারের উপর ছিল বিশাল চাপ।
এমন একটা পরিস্থিতিতে, ইংল্যান্ডের শেষ গ্রুপ ম্যাচে প্রতিপক্ষ ছিল শক্তিশালী পোল্যান্ড। ম্যাচটি ছিল বাঁচা-মরার লড়াই।
এই ম্যাচে ভালো কিছু করতে না পারলে, ইংল্যান্ডের বিশ্বকাপ স্বপ্ন সেখানেই শেষ হয়ে যেত। সবার চোখ ছিল লিনেকারের দিকে। কারণ, তিনিই ছিলেন দলের প্রধান ভরসা।
ম্যাচের শুরু থেকেই লিনেকার ছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে। পুরো দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে তিনিই ছিলেন সবচেয়ে বেশি আক্রমণাত্মক। তাঁর অসাধারণ নৈপুণ্যে ভর করে ইংল্যান্ড দল পোল্যান্ডকে পরাস্ত করে, এবং সেই ম্যাচে লিনেকার একাই করেন হ্যাটট্রিক।
এই হ্যাটট্রিক শুধু ইংল্যান্ডের জয় নিশ্চিত করেনি, বরং তা লিনেকারের ক্যারিয়ারের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই একটি ম্যাচই তাঁকে বিশ্বজুড়ে পরিচিতি এনে দেয়, এবং তিনি পরিণত হন ফুটবল বিশ্বের অন্যতম সেরা তারকায়। তাঁর খেলা দেখার জন্য মুখিয়ে থাকত সারা বিশ্বের ফুটবল প্রেমীরা।
পোল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই অবিস্মরণীয় জয় ছিল লিনেকারের জীবনের মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। এরপর তিনি আর ফিরে তাকাননি। তাঁর পায়ের জাদু এবং গোল করার ক্ষমতা তাঁকে এনে দেয় আকাশচুম্বী জনপ্রিয়তা।
গ্যারি লিনেকার নামের এই তারকা ফুটবলারের উত্থান ১৯৮৬ সালের বিশ্বকাপকে আরও স্মরণীয় করে রেখেছে।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান