মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের গোপন তথ্য ফাঁস, ইয়েমেনে হামলার পরিকল্পনার বিস্তারিত!
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের একটি গোপন বার্তা আদান-প্রদানের ঘটনায় নিরাপত্তা লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, আটলান্টিক ম্যাগাজিনের সম্পাদক-ইন-চিফ জেফরি গোল্ডবার্গকে একটি ‘সিগন্যাল’ চ্যাট গ্রুপের মাধ্যমে ইয়েমেনে মার্কিন বিমান হামলার বিস্তারিত তথ্য জানানো হয়েছিল, যা ছিল সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিত।
ঘটনার সূত্রপাত গত ১৫ই মার্চ, যখন ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের ওপর মার্কিন বিমান হামলার প্রস্তুতি চলছিল। হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে, গোল্ডবার্গ ওই গোপন চ্যাট গ্রুপের সদস্য হন, যেখানে তৎকালীন প্রতিরক্ষা সচিব এবং জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাসহ গুরুত্বপূর্ণ কর্মকর্তারা জড়িত ছিলেন।
এই চ্যাট গ্রুপে, হামলার পরিকল্পনা, লক্ষ্যবস্তু এবং ব্যবহৃত অস্ত্রের বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। গোল্ডবার্গ জানান, হামলার কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি যখন জানতে পারেন, তখন তিনি হতবাক হয়ে যান। তিনি দ্রুত ঘটনাটি খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
অভিযোগ উঠেছে, কর্মকর্তাদের এই ধরনের গোপন তথ্য আদান-প্রদান যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা আইনের গুরুতর লঙ্ঘন। বিশেষ করে, তথ্যের গোপনীয়তা রক্ষা এবং দেশের নিরাপত্তা স্বার্থে, এই ধরনের পদক্ষেপ অত্যন্ত উদ্বেগের বিষয়।
আলোচিত ‘সিগন্যাল’ চ্যাট গ্রুপে ভাইস প্রেসিডেন্টসহ আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির বার্তা আদান-প্রদান হয়েছে। সেখানে ইয়েমেনে হামলার কৌশল নিয়ে ভিন্নমতও দেখা যায়।
এ বিষয়ে হোয়াইট হাউজের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ঘটনার তদন্ত করা হচ্ছে এবং কিভাবে গোল্ডবার্গ এই চ্যাট গ্রুপে যুক্ত হলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে, ট্রাম্প প্রশাসন এই ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তা ব্যবস্থার দুর্বলতা প্রকাশ করে এবং এর ফলে ভবিষ্যতে আরও বড় ধরনের ঝুঁকি তৈরি হতে পারে। বিরোধী দলগুলো এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানিয়েছে।
ইয়েমেনে চলমান সংঘাত দীর্ঘদিন ধরে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের উদ্বেগের কারণ। এই ঘটনার পর, সেখানে মানবিক সংকট আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তথ্য সূত্র: আল জাজিরা