1. [email protected] : adminb :
  2. [email protected] : Babu : Nurul Huda Babu
March 28, 2025 7:33 AM
সর্বশেষ সংবাদ:
ইসরায়েলের সংসদে নতুন আইন, বিচার বিভাগের ক্ষমতা পরিবর্তনে তোলপাড়! আতঙ্কে কলম্বিয়া! অভিবাসন ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চুক্তিতে কী আছে? জেলেনস্কি’র নয়া চাল: রাশিয়ার ‘অবিশ্বাসের’ মুখোশ উন্মোচন! ইতালিতে শরণার্থীদের সাহায্যকারীদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি? ফাঁস চাঞ্চল্যকর তথ্য! আতঙ্কের মেঘ সরিয়ে: লেটন ওরিয়েন্ট দখলের পথে মার্কিন জায়ান্ট! আতঙ্কের ছবি! দ্রুত কমছে পৃথিবীর পানি, কৃষিতে চরম বিপদ? ভয়ংকর সিদ্ধান্ত! লিয়াম লসনকে সরিয়ে দেওয়ার আসল কারণ ফাঁস করলো রেড বুল বিদ্রোহীদের তোপেও টিকে গেলেন রাগবি প্রধান, চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্ত! ঐক্যবদ্ধ কণ্ঠে: এবার কি আসছেন জনপ্রিয় ব্যাঙ!? দৌড়ে বাজিমাত! কঠিন পথে এগিয়ে শীর্ষস্থান ধরে রাখলেন মিকায়েলা শিফ্রিন!

বন্দী জীবনের যন্ত্রণা: মিয়ানমারের শিল্পী হেইন লিনের মুক্তি খোঁজার গল্প!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট হয়েছে : Tuesday, March 25, 2025,

বার্মার শিল্পী, যিনি কারাগারের অন্ধকার প্রকোষ্ঠে বসেও আঁকতে ভোলেননি, সেই হেইন লিনের শিল্পকর্ম এখন বার্মিংহামের আইকন গ্যালারিতে প্রদর্শিত হচ্ছে। মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী শিল্পী হেইন লিন-এর কারাজীবনের সাক্ষী তাঁর শিল্পকর্মগুলো।

যেখানে ক্যানভাস হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে কারাকক্ষের পোশাক, আর তুলির বদলে সিরিঞ্জ, লাইটার ও সাবান।

১৯৮৮ সালের গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনে জড়িত থাকার অভিযোগে হেইন লিনকে প্রথম কারাবন্দী করা হয়। এরপর ১৯৯৮ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত তিনি মিয়ানমারের কারাগারে বন্দী ছিলেন।

কারাগারে থাকাকালীন সময়ে, যখন বাইরের পৃথিবীর আলো প্রায় নিভে গিয়েছিল, তখন তিনি তাঁর ভেতরের আলো জ্বালিয়ে রেখেছিলেন ছবি এঁকে। তাঁর ক্যানভাসে ফুটে উঠত বন্দী জীবনের যন্ত্রণা, দেশের মানুষের প্রতিচ্ছবি।

ছবি আঁকার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম না থাকার কারণে, তিনি কারাকক্ষের সাধারণ জিনিসপত্র ব্যবহার করতেন। ক্যানভাসের বদলে ব্যবহার করতেন কারারক্ষীর পোশাক, আর তুলির পরিবর্তে সুঁচ, সিরিঞ্জ ও লাইটারের হলকা ব্যবহার করতেন।

হেইন লিনের শিল্পকর্মগুলোতে শুধু কারাজীবনের প্রতিচ্ছবিই দেখা যায় না, বরং এর মাধ্যমে মিয়ানমারের রাজনৈতিক অস্থিরতা এবং গণতন্ত্রের জন্য মানুষের সংগ্রামও ফুটে ওঠে।

তাঁর বিখ্যাত চিত্রকর্মগুলির মধ্যে রয়েছে ‘সিটিং অ্যাট আয়রন গেট’ (২০০২), যেখানে কারাগারের সংকীর্ণ জীবনের প্রতীক হিসেবে আন্তঃসংযুক্ত অঙ্গপ্রত্যঙ্গ এবং ঘূর্ণায়মান নকশা ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া, তিনি নিজের আঙ্গুল ব্যবহার করে বেশ কয়েকটি আত্ম-প্রতিকৃতিও এঁকেছেন।

‘বায়োলজি অফ আর্ট’ (১৯৯৯) নামক একটি চিত্রে তিনি টুথপেস্টের টিউব, ওষুধের বোতল ও পিল প্যাকেট ব্যবহার করে মানুষের শরীরের গঠন ফুটিয়ে তুলেছেন।

হেইন লিনের কাজের গভীরতা কেবল তাঁর শিল্পকর্মে সীমাবদ্ধ নয়। কারাবন্দী প্রাক্তন রাজনৈতিক বন্দীদের হাতের প্লাস্টার দিয়ে তৈরি ‘এ শো অফ হ্যান্ডস’ শীর্ষক একটি শিল্পকর্ম তৈরি করেন তিনি।

এই কাজটি করতে গিয়ে তিনি তাঁদের বন্দী জীবনের স্মৃতি এবং ত্যাগের গল্প শুনেছেন। হেইন লিন মনে করেন, এই কাজটি তাঁদের আত্মত্যাগের প্রতি সম্মান জানায়।

বর্তমানে, হেইন লিন মিয়ানমারে তাঁর নিজ বাসভূমে অবস্থান করছেন। পাসপোর্ট না থাকার কারণে, তিনি বার্মিংহামের প্রদর্শনীতে যোগ দিতে পারেননি।

উল্লেখ্য, ২০২১ সালে সামরিক অভ্যুত্থানের পর দেশটির পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে। অং সান সু চি’র নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। তারপর থেকে, হাজার হাজার মানুষকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এখনো অনেকে বন্দী জীবন কাটাচ্ছেন।

হেইন লিনের মতে, বিশ্ব মিয়ানমারের সংকটকে সেভাবে গুরুত্ব দেয় না। তাঁর ভাষায়, “বিষয়টা এমন নয় যে বিশ্ব মিয়ানমারকে ভুল বোঝে, বরং তারা মনোযোগ দেয় না।”

বর্তমানে তাঁর স্ত্রী, যুক্তরাজ্যের সাবেক রাষ্ট্রদূত ভিকি বোম্যান-এর সঙ্গেও তিনি বিচ্ছিন্ন হয়ে আছেন। তাঁরা দুজনেই বর্তমানে মিয়ানমারের সামরিক সরকারের রোষানলে রয়েছেন।

হেইন লিনের শিল্পকর্ম আমাদের মনে করিয়ে দেয়, কঠিন সময়েও শিল্প মানুষের টিকে থাকার শক্তি যোগায়। তাঁর কাজ, নিপীড়নের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।

তাঁর এই শিল্পকর্ম, গণতন্ত্রের জন্য মানুষের অবিরাম সংগ্রামের এক নীরব সাক্ষী হয়ে থাকবে।

তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান

পোস্টটি শেয়ার করুন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিভাগের আরো খবর
© All rights reserved © 2019 News 52 Bangla
Theme Customized BY RASHA IT