পোপ ফ্রান্সিসের গুরুতর অসুস্থতা: জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে চিকিৎসকরা।
আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা যায়, সম্প্রতি পোপ ফ্রান্সিস গুরুতর অসুস্থ হয়ে ইতালির একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।
৮৮ বছর বয়সী এই ধর্মগুরুর ফুসফুসে সংক্রমণ ধরা পড়েছিল, যা ছিলো নিউমোনিয়া। প্রায় পাঁচ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে তিনি রোমের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
চিকিৎসকদের দল তাঁর জীবন বাঁচানোর জন্য আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে, চিকিৎসকদের জীবন-মরণের মাঝে একটি কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হয়।
তাঁরা ভেবেছিলেন, হয় চিকিৎসা বন্ধ করে দেবেন, নয়তো সম্ভাব্য সব চিকিৎসা চালিয়ে যাবেন।
ঝুঁকি ছিল, এতে অন্য অঙ্গ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে জানা যায়, একবার তো এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল যে, তিনি শ্বাসকষ্টের কারণে বমিও করেছিলেন।
সে সময় তাঁর অবস্থা এতটাই খারাপ ছিল যে, ডাক্তারদের চোখে জল এসে গিয়েছিল।
সবাই যেন বাবাকে হারাতে বসেছিল।
তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক ম্যাসিমিলিয়ানো স্ট্রাপ্পেত্তি চিকিৎসকদের সব চেষ্টা চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
“চেষ্টা চালিয়ে যান, হাল ছাড়বেন না।”
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, পোপ ফ্রান্সিস নিজেও তাঁর শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে অবগত ছিলেন।
তিনি সবসময় তাঁর শারীরিক অবস্থার বিষয়ে চিকিৎসকদের কাছ থেকে বিস্তারিত জানতে চাইতেন।
চিকিৎসকদের অক্লান্ত পরিশ্রমে ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন পোপ ফ্রান্সিস।
বর্তমানে তিনি সুস্থ হয়ে ভ্যাটিকান সিটির সান্তা মার্তার একটি বাড়িতে বিশ্রাম নিচ্ছেন।
চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, পুরোপুরি সুস্থ হতে তাঁর আরও অন্তত দুই মাস সময় লাগবে।
ছোটবেলায় ফুসফুসে জল জমে যাওয়ার কারণে একবার তাঁর অস্ত্রোপচার হয়েছিল।
সম্ভবত সে কারণে তাঁর ফুসফুসের সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
তথ্য সূত্র: দ্য গার্ডিয়ান।