প্রিন্স হ্যারির এইডস বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ‘সেন্তেবেল’ ছাড়ার ঘটনায় হতবাক রাজপরিবারের সদস্য। লেসোথো এবং বতসোয়ানায় এইচআইভি/এইডস আক্রান্ত তরুণদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে প্রতিষ্ঠিত এই সংস্থা থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন তিনি।
ট্রাস্টি ও বোর্ডের সভাপতির মধ্যে মতবিরোধের জের ধরেই এমনটা ঘটেছে।
ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স হ্যারি, যিনি প্রয়াত প্রিন্সেস ডায়ানার ছোট ছেলে, ২০০৬ সালে ‘সেন্তেবেল’ প্রতিষ্ঠা করেন। লেসোথোর স্থানীয় ভাষায় ‘সেন্তেবেল’-এর অর্থ হলো ‘ভুলো না’।
মায়ের স্মরণে হ্যারির এই উদ্যোগের সঙ্গে ছিলেন লেসোথোর প্রিন্স সিইসো।
সংস্থা সূত্রে জানা যায়, বোর্ডের চেয়ার সোফি চান্দাউকার সঙ্গে ট্রাস্টিদের বিরোধের কারণেই হ্যারি ও প্রিন্স সিইসো দুজনেই পদত্যাগ করেছেন। সোফি চান্দাউকা তার পদ ধরে রাখতে আইনি পদক্ষেপ নিয়েছেন।
বুধবার স্কাই নিউজে প্রকাশিত এক যৌথ বিবৃতিতে হ্যারি ও প্রিন্স সিইসো বলেছেন, “দাতব্য সংস্থার ট্রাস্টি ও বোর্ডের সভাপতির মধ্যে সম্পর্ক এতটাই খারাপ হয়ে গিয়েছিল যে তা আর জোড়া লাগানোর মতো ছিল না, যা একটি অচল পরিস্থিতি তৈরি করেছে।”
বর্তমানে স্ত্রী মেগান ও দুই সন্তানকে নিয়ে ক্যালিফোর্নিয়ায় বসবাস করা হ্যারি ২০২০ সালে রাজপরিবারের সদস্য হিসেবে কাজ করা বন্ধ করে দেন। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি আফ্রিকার বিভিন্ন জনহিতকর কাজে জড়িত ছিলেন এবং গত বছর নাইজেরিয়াও সফর করেছেন।
যৌথ বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ট্রাস্টিরা সংস্থার স্বার্থের কথা ভেবেই চেয়ারকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন। বিবৃতিতে আরও উল্লেখ করা হয়, “আমরা হয়তো এখন আর পৃষ্ঠপোষক নই, তবে আমরা সবসময় এর প্রতিষ্ঠাতা থাকব।
সঠিক তত্ত্বাবধানে এই সংস্থাটি কী অর্জন করতে পারে, তা আমরা কখনোই ভুলব না।”
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে রয়টার্স ব্রিটিশ চ্যারিটি কমিশন এবং সেন্তেবেলের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
তথ্য সূত্র: সিএনএন